নিজস্ব প্রতিবেদন : রাস্তা বেহাল। পাত্রের গাড়ি যাওয়ার উপায় নেই। ফলে বিয়েই ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। শেষপর্যন্ত বাঁশ ফেলে, বালির বস্তা দিয়ে হাতে হাতে পাত্রের গাড়ি যাওয়ার 'রাস্তা' তৈরি করলেন গ্রামবাসীরাই। 'লগ্নভ্রষ্টা' হওয়ার থেকে বাঁচল কনে। হাসি ফুটল কন্যাদায়গ্রস্ত বাবার মুখে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজগঞ্জের মাঝাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ রায়। প্রায় দেড় বছর ধরে ঘটকের মাধ্যমে মেয়ের সম্বন্ধ দেখছিলেন। কিন্তু কিছুতেই মন মতো পাত্রের সন্ধান মিলছিল না। অবশেষে অনেক কথাবার্তার পর মেয়ের জন্য সুযোগ্য পাত্র খুঁজে পান। ঠিক হয় বিয়ের দিন, লগ্ন। শুরু হয়ে যায় বিয়ের তোড়জোর।


বৃহস্পতিবার রাতেই ছিল বিয়ে। বাড়ির মেয়ের বিয়ে বলে কথা। নীল-লাল কাপড়ের প্যান্ডেল বাঁধা বাড়িতে তখন লোক গমগম করছে। জোরকদমে ছাদনাতলা বাঁধার প্রস্তুতি চলছে। এমন সময়ই হঠাত্ একটা ফোন আসে সুরেশ রায়ের কাছে। ফোনটা ধরতেই এক লহমায় বিয়েবাড়িতে গ্রাস করে শূন্যতা। সব আনন্দ নিমেষে উবে গিয়ে বিয়েবাড়ি জুড়ে তখন শুধুই নিস্তব্ধতা।


আরও পড়ুন, কুপ্রস্তাবে 'না', ফেসবুকে ছড়ানো হল ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি, পরিণতি মর্মান্তিক


ফোনটা এসেছিল ছেলের বাড়ি থেকে। পাত্রের বাড়ির বক্তব্য, মেয়ের বাড়ির গ্রামের রাস্তা বড়ই খারাপ। এই রাস্তা দিয়ে বরের গাড়ি কোনওভাবেই যেতে পারবে না। এই ফোনের পরই কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মেয়ের বাবা সুরেশ রায়ের মাথার উপর। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।



এদিকে, এলাকায় এই খবর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগে না। গ্রামের মেয়ের বিয়ে বাঁচাতে তারপরই কোমরবেঁধে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকার ছেলেবুড়োর দল। বাঁশ ফেলে, বালির বস্তা চাপিয়ে হাতে হাতেই তৈরি হয়ে যায় 'রাস্তা'। অবশেষে সেই রাস্তা দিয়েই কনেকে বিয়ে করতে আসে বর বাবাজীবন। রাতে নির্দিষ্ট লগ্নেই চারহাত এক হয়।