রণজয় সিংহ: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদা জেলা পুলিশ সুপার অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী উত্তম ঘোষের বিরুদ্ধে। এনিয়ে জেলা পুলিস সুপার এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন এক যুবক। টাকা নেওয়ার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত উত্তম ঘোষের স্ত্রী লক্ষ্মী ঘোষ। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি  চাপানউতোর।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মাঝপথেই থেমে গেল 'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস'! কে টানল চেন? কারণ জানালেন শোয়েব     


এমন গুরুতর অভিযোগ এড়িয়ে যাননি জেলা শাসক। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
                      
অভিযোগকারী যুবক জাহাঙ্গীর আলী মালদার পুখুরিয়া থানার লোখরা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে গাড়ি সংক্রান্ত সমস্যার নিয়ে জেলা পুলিস সুপারের অফিসে যান জাহাঙ্গীর। সেখানেই পরিচয় হয় পুলিস সুপার অফিসে কর্তব্যরত উত্তম ঘোষের সঙ্গে। পুলিস সুপার অফিসের ওই কর্মী জাহাঙ্গীরকে চাকরির প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় ওই যুবক। সাড়ে ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ওই যুবককে। অগ্রিম হিসাবে নেওয়া হয় আড়াই লক্ষ টাকা। আগস্ট মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উত্তম ঘোষ। কিন্তু চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চায় জাহাঙ্গীর। নভেম্বর মাসে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি উত্তম ঘোষ। তাই পাওনা টাকা ফেরত পেতে এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে জেলা পুলিস সুপার এবং জেলা শাসকের দ্বারস্থ হলেন জাহাঙ্গীর।
                                       
টাকা নেওয়ার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত উত্তম ঘোষের স্ত্রী লক্ষ্মী ঘোষ। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আমাদের বাড়িতে এসেছিল তারপরই জানতে পারি যে ও টাকা নিয়েছে। টাকা যখন নিয়েছে তখন তা ফেরত দিতে হবে। দশ তারিখ পর্যন্ত টাইম নিয়েছি টাকা ফেরত দেওয়ার। 
যদিও জেলা পুলিশ সুপার অফিস এবং বাড়িতেও দেখা মেলেনি অভিযুক্ত উত্তম ঘোষের। 


এ বিষয়ে জেলা পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। 


আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এখন রক্ষকই ভক্ষক হয়েছে। এই ঘটনায় আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। প্রশাসনের ওপরে যে সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা আছেন তারাই তো এখন টাকা নেওয়ার দায়ে জেলে আছেন । তাই এখন সরকারি কর্মীরাও ভাবছেন আমরাও কিছু টাকা তুলি। কেবলমাত্র নেতারাই কেন টাকা খাবেন। এসপি অফিসে মানুষ যখন নিজের সমস্যা সমাধানে যান তখন সেখানকার কর্মী যদি প্রতারণা করে এর চেয়ে দুঃখের বিষয় কিছু হয় না। আশা রাখবো প্রশাসন এর যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে। 


বিজেপির অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস । জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, এটা দলের কোন বিষয় নয়। কোন সরকারি কর্মী এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে  আইনের শাসন আছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)