GTA: জিটিএ ভোটের আগে চাই গোর্খাল্যান্ডের রাজনৈতিক সমাধান; কেন্দ্রকে সাহায্য করুক রাজ্য, দাবি বিজেপির
কালিম্পংয়ে বিজেপির কার্যালয়ে বসে কল্যাণ দেওয়ান বলেন, জিটিএ একটি পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থা কখনওই সফল হয়নি রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মে-জুনেই জিটিএর নির্বাচন হতে পারে। দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের একাধিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরই জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করলেন দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলা বিজেপি সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান।
কালিম্পংয়ে বিজেপির কার্যালয়ে বসে কল্যাণ দেওয়ান বলেন, জিটিএ একটি পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থা কখনওই সফল হয়নি রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে। এটি পরিচালনা করতে চেয়েছে রাজ্য সরকার। এর জন্যই জিটিএ ছেড়েছেন এর অধিকাংশ সদস্য।
বিজেপি জেলা সভাপতির অভিযোগ ২০১৭ সালের আন্দোলনের পর থেকে এখনওপর্যন্ত অচল জিটিএ। কারণ রাজ্য সরকার নিজেদের পছন্দের লোক নিয়ে জিটিএ পরিচালনা করেছে। পাহাড়ের মানুষের কথা ভাবেনি। পাহাড়ের মূল সমস্যা গোর্খাল্যান্ড। যার সমাধানের কথা বলেছে কেন্দ্র। এরকম এক অবস্থায় রাজ্য সরকার যদি জিটিএ ভোটের ফল চাপিয়ে দেন তাহলে বুঝতে হবে পাহাড়বাসীর উন্নয়ন চায় না রাজ্য সরকার।
কল্যাণ দেওয়ান আরও বলেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গোর্খাল্যান্ডের যে রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে তাকে আমল দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। জিটিএ-র নির্বাচন হোক কিন্তু তার আগে কেন্দ্র যে রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলছে তাতে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করুক। এমনটা না হলে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।
আরও পড়ুন-পাহাড়ে অধিকাংশ দলই জিটিএ-র নির্বাচন চায়: মমতা