নিজস্ব প্রতিবেদন:  হাবড়ায় মা-মেয়ের খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। যা শুনলে তাজ্জব বনে যাবে তাবড় ভাড়াটে খুনিরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার হাবড়ার এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পূজা ও তার মায়ের দেহ। এই খুনের নেপথ্যে উঠে আসে গৃহকর্তা শেখর দেবনাথের নাম। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা তথ্য উঠে আসে, তাতে চমকে যাচ্ছেন দুঁদে পুলিসকর্তারাও।


আরও পড়ুন:  মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে দেওয়া হত ফার্স্ট বয়কে! অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে



গত শনিবার মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করে শেখর। এরপর বাথরুমে গিয়ে নতুন সাবান মেখে স্নান করে। পাটভাঙা জামা পড়ে মেয়ের সাইকেল নিয়েই দরজায় তালা লাগিয়ে বাইরে ঘুরতে বেরোয় শেখর। ৪ কিলোমিটার সাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করে। মসলন্দপুর রেলগেটের কাছে একটি দোকান থেকে প্লাস্টিক কেনেন। এপর বাড়ি ফিরে অনেক রাত পর্যন্ত মদ খায় শেখর। ওই প্লাস্টিক দিয়েই দেহ মুড়িয়ে খাটের নিচে রাখা হয়।


আরও পড়ুন: এক কোপে ধড় থেকে আলাদা মুন্ডু, কাটা অংশ হাতে ঝুলিয়েই চম্পট


যে খাটের নিচে মেয়ে-স্ত্রীর দেহ, সেই খাটের উপরই নতুন চাদর পেতে ঘুমিয়ে পড়ে শেখর। রবিবার দিনভর মদ খায়। পাড়ারই এক ছেলেকে দিয়ে বিরিয়ানি ও মদ কিনিয়ে আনে সে। খাটের পাশে বসেই মদ ও বিরিয়ানি খায়। মাঝেমধ্যে বারান্দায় গিয়ে বসে শেখর। প্রতিবেশী ওই যুবকেরও দাবি, শেখরের হাবভাব তাঁর কাছ এতটুকুও অস্বাভাবিক লাগেনি। রবিবার পর্যন্ত একেবারেই স্বাভাবিক ছিল শেখর।


আরও পড়ুন: লটারির নেশাতেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়েকে খুন, বাদ গেলেন না স্ত্রীও!


সোমবার থেকে তার আচরণে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তার অসংলগ্ন কথাবার্তাতেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এরপর মেয়ে-স্ত্রীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে শেখর।


এলাকায় আপাত নিরীহ মানুষ বলেই পরিচিত। তবে দু-দুটো খুন করে কীভাবে দুদিন ধরে এতটা স্বাভাবিক থাকতে পেরেছিল সে?  প্রতিবেশীদের মতো অবাক হচ্ছেন তদন্তকারীরাও।