নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁসখালিতে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত। আর তার পরই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে অভিযুক্তের বাড়িতে একটি চাদরে তার সিমেনের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ওই খবরের কাটতে না কাটকেই চাঞ্চলকর অভিযোগ করলেন মৃত নাবালিকার বাবা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার পরই নাবালিকার পারিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, চাপে পড়েই তারা দ্রুত তাদের মেয়েকে দাহ করে ফেলেছেন। কিন্তু কার চাপে? অভিযোগ তির ছিল অভিযুক্তের পরিবারের দিকেই। আর আজ নাবালিকার বাবার অভিযোগ, হুমকি দেওয়া হয়েছিল, হাসপাতালে গেলে পুড়িয়ে মেরে ফেলব। থানায় গেলে মেরে ফেলব। ভয়ে কোনও জায়গা যেতে পারিনি। মেয়ে বাড়িতেই পড়েছিল। সেখানেই মারা গিয়েছে।


বুধবার সংবাদমাধ্যমে হাঁসখালির নাবালিকার বাবা বলেন, মেয়ের উপরে যারা অত্যাচার করেছিল তারা আমাদের ভয় দেখিয়েছিল। বলেছিল হাসপাতালে গেলে তোদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেব। থানায় গেলে মেরে দেব তোদের। তারপর আমাদের মেয়ে ঘরেই মারা গিয়েছে। কোথাও বেরোতে পারিনি। 


ঘটনার পর থেকেই একটা প্রশ্ন উঠছিল, ঘরে ফেরার পর নারাবলিকার পেটে তীব্র যন্ত্রণা ও রক্তপাত হলেও চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়নি কেন? নাবালিকার বাবার বয়ানেই আজ তা স্পষ্ট হল। নাবালিকার বাবা ও জেঠতুতো দাদার অভিযোগ, দুজন যুবক ও এক মহিলা ওই নাবালিকাকে ঘরে ছেড়ে দিয়ে যান। তারা শাসিয়ে যায়, কোনওভাবেই যেন ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না হয়। পরে রাতের দিকে আরও কয়েকজন এসে থানা-পুলিস করতে নিষেধ করে যায়। ওইসব হুমকি পরিবারের উপরে এতটাই প্রভাব ফেলে যে নাবালিকার বাবা যখন গ্রামীণ চিকিত্সকের কাছে যান তখন মেয়ের ব্যাপারকে বিস্তারিত কিছু জানাতেও পারেননি। শুধু বলেছিলেন মেয়ের পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। তার ফলেও ওই চিকিত্সক ব্যাথার ওষুধ দিয়ে দেন। 


আরও পড়ুন-ভরদুপুরে ব্যাঙ্কে দুঃসাহসিক ডাকাতি; লুট বিপুল টাকা, সিসিটিভিতে ধরা পড়ল সেই ছবি


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)