নিজস্ব প্রতিবেদন: অভাবের সংসারে ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর সামর্থ ছিল না হাসনাবাদ স্টেশন সংলগ্ন কলোনির বাসিন্দাদের। লেখাপড়া শেখা তখন কেবল স্বপ্নমাত্র। তবে সেই অধরা স্বপ্ন পূরণের তাগিদ নিয়েছিলেন হাসনাবাদের বিষ্ণুপদ। টোটো চালিয়ে স্কুল তৈরি করেছেন তিনি। কলোনির বহু গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়ছেন বিষ্ণুপদ মণ্ডলের তৈরি স্কুলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: গভীর রাতে স্কুলে হঠাৎ হানা! নিরাপত্তারক্ষী কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর কাণ্ড


টাকি কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন বিষ্ণুপদ। তারপর টোটো চালিয়েই দিন গুজরান। এরপর রেললাইনের ধারের ১৮ জন বাচ্চাকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এক কামরার আশালতা নার্সারি কেজি স্কুল। বছর দুই পর এখন সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৫। দুজন শিক্ষিকাও রয়েছেন। আপাতত তার ধ্যান-জ্ঞান সবই এই স্কুলকে ঘিরে। টোটো চালিয়ে যে টুকু অর্থ উপার্জন হয় তাই দিয়ে কিনেছেন স্কুলের চেয়ার-টেবিল বেঞ্চ। এমনকি পড়ুয়াদের বইখাতা  পোশাক পর্যন্ত কিনে দিয়েছেন তাঁদের। বস্তির বাসিন্দাদের কথায় আমাদের ইচ্ছা থাকলে সন্তানদের নার্সারি স্কুলে পড়ানোর ক্ষমতা নেই কিন্তু বিষ্ণুপদ সেই স্বপ্ন সফল করেছে।


আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যস্ত অংশ না সারিয়েই রঙের প্রলেপ, ফের ক্ষোভের মুখে কর্তৃপক্ষ


তাঁর অবদান খুশি এলাকাবাসীরাও, উপকৃত ছোটরা। সবমিলিয়ে কলোনীর মানুষের স্বপ্নের উড়ানের দায়িত্ব নিয়েছে বিষ্ণুপদ।  আর্থিক অবস্থা যাতে স্বপ্নের পথে বাধ না সাধে, তার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অন্ধাকারে আলো জ্বলবেই, বদ্ধপরিকর বিষ্ণুপদ।