নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়লা পাচার কাণ্ডে লালা লালা-ঘনিষ্ঠ ১০ ব্যবসায়ীকে তলব করেছিল সিবিআই। এ সংক্রান্ত কলকাতা উচ্চ আদালতে বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল। সেখানে কয়লা-কাণ্ডের তদন্ত সিবিআই নির্বিবাদে করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী এবং লালার আইনজীবীর মধ্যে সওয়াল-জবাব চলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়লা-কাণ্ডের (Coal Smuggling) তদন্তের বিষয়ে সিবিআই-রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী জানিয়ে দিল, রাজ্যের অনুমতি ব্যতিরেকেই এই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারার কথা সিবিআইয়ের। 


প্রসঙ্গত, রাজ্য আইন করেছিল, রাজ্যের কোনও বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করতে গেলে আগে তার অনুমতি নিতে হবে। তবে যে সময়ে (২০১৮ সাল) এই আইন লাগু হয়, কয়লা-কাণ্ড  তার আগের ঘটনা হলে সিবিআই সেই তদন্ত করতে পারবে, এমন ইঙ্গিতই আলোচনায় উঠে আসে। কয়লা-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে সম্ভবত রাজ্যের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে, অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের।


রেলের এলাকাভুক্ত এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হলে তার তদন্ত করার ক্ষেত্রে সিবিআইকে কেন্দ্রের যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সে বিষয়েও তথ্য দাবি করল কলকাতা উচ্চ আদালত। এরই সঙ্গে যেখানে অবৈধ খনি আছে বলে সিবিআই তদন্ত করছে, সেটা যে রেলের জায়গা, তার তথ্যও তলব করা হয়েছে।


কয়লা-কাণ্ডের তদন্ত করার আগে রাজ্যের কোনও অনুমতি চায়নি সিবিআই। যদিও আইন বলছে, সিবিআইকে রাজ্যের অনুমতি নিতে হয়। এই মর্মে কোর্টে সওয়াল করেন অনুপ মাঝি ওরফে লালার আইনজীবী।
রাজ্যের কোনও আধিকারিক কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাঁর বিষয়ে তদন্ত করতে গেলেও নিতে হয় রাজ্যের অনুমতি, জানানো হয় তা-ও। 


যদিও সিবিআই জানিয়েছে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রের অফিসার অভিযুক্ত, সুতরাং এই প্রশ্ন ওঠে না। এবং অপরাধ যেহেতু রেলের জায়গার মধ্যে পড়েছে সেহেতু রাজ্যের কাছ থেকে এর অনুমতি নিতে হয় না। প্রসঙ্গত, পাণ্ডবেশ্বরে রেল-এলাকা থেকে ৯ মেট্রিক টন কয়লা ধরা হয়েছিল। সিবিআই জানায়, এর সঙ্গে রেলের লোকই জড়িত। যদিও তা নিয়েও লালার আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন।


বিচারপতি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, বর্ধমানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মানে সেখানেই এর বিচার করতে হবে, এই যুক্তি তিনি গ্রহণ করছেন না। অপরাধ  যেখানেই সংঘটিত হোক না কেন তার তদন্ত আটকে রাখা যায় না, মন্তব্য তাঁর।


Also Read: Suvendu-কে নোটিস Abhishek-র, ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা