নিজস্ব প্রতিবেদন: ডাক্তারি ডিগ্রি নেই, অথচ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের সঙ্গে বসেই দিব্য রোগী দেখে ওষুধ লিখে দিচ্ছেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত ডাক্তার কৌশিক চৌধুরির নামে অভিযোগ, এক বহিরাগত যুবক তাঁর পাশের চেয়ারে বসেই রোগী দেখছেন। বেশ কয়েকজনকে ভুল ওষুধ লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে শুরু হয় তদন্ত, এরপরেই সামনে আসে আসল তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরি আউটডোরে রোগী দেখার সময় তাঁর সঙ্গেই বসেন অভিযুক্ত যুবক, এমনকি রোগী দেখার পাশাপাশি তাঁদের ওষুধও দেন ওই যুবক। এমনি এক রোগীকে দেখার সময়ে ভুল ওষুধ লিখে দেন তিনি এবং সেই রোগী দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁকে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন: বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু , গ্রেফতার নববধূ ও শ্বশুর


এরপরেই সামনে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, যে দীর্ঘদিন রোগী দেখছেন তাঁর কোনও ডিগ্রিই নেই। একজন চিকিৎসকের সামনে অন্য একজন ব্যক্তি কীভাবে সরকারি হাসপাতালে ঢুকে এমন কাজ চালিয়ে যেতে পারেন দিনের পর দিন, প্রশ্ন উঠেছে। 


এই বিষয়ে বিধাননগর প্রাথমিক হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, 'ছেলেটি তাঁর হেল্পিং হ্যান্ড হিসাবে কাজ করে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অরুণাভ দাস ও হাসপাতালের ইনচার্জ বিশ্বজিৎ দত্ত অনুমতি নিয়েই তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি। ভুল ওষুধ দেওয়ার প্রসঙ্গে চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরির সাফাই, রোগী দেখে ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না। তবে রোগী দেখে ওষুধ লেখার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক।