Malbazar: টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে ডুয়ার্স জুড়ে! প্লাবিত গোটা এলাকা...
Heavy Rain in Malbazar: গত তিন দিন যাবত বৃষ্টি হয়েই চলেছে পাহাড় ও সমতলে। গত দুদিন ডুয়ার্সের নদীগুলির জলে ফুলেফেঁপে উঠেছিল। তবে গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি হলেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি। যার ফলে আজ, শনিবার নদীর জল সামান্য কমেছে।
অরূপ বসাক: গত তিন দিন যাবত বৃষ্টি হয়েই চলেছে পাহাড় ও সমতলে। গত দুদিন ডুয়ার্সের নদীগুলির জলে ফুলেফেঁপে উঠেছিল। তবে গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি হলেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি। যার ফলে আজ, শনিবার নদীর জল সামান্য কমেছে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ টানা ভারী বৃষ্টি! প্রথম বর্ষার জল-যন্ত্রণায় বিপন্ন স্থানীয় মানুষজন...
তবে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। রাস্তাঘাটে জল জমে রয়েছে। তিস্তার জলও বেড়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জন্য ঘীস বস্তি এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন। সমস্যায় সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, এখন নদীর জল কিছুটা কম হলেও পাহাড়ে বৃষ্টির জন্য যখন-তখন নদীর জল বাড়তে পারে। শনিবার সকাল থেকে কম-বেশি বৃষ্টি হয়েই চলেছে ডুয়ার্স জুড়ে। এদিকে সিকিমের রাস্তা বন্ধের জন্য সিকিমের সমস্ত গাড়ি সেভক হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম,, গরুবাথান, লাভা হয়ে সিকিম যাচ্ছে। অন্য দিকে, বৃষ্টির কারণে ডুয়ার্স রুটে ট্রেন চলাচল করছে বেশ ধীর গতিতে।
বুধবার নাগাদ ডুয়ার্সের নদীগুলিতে জল ছিল না সেভাবে। তবে বেলা বাড়তেই জল বাড়তে শুরু করেছিল বিভিন্ন নদীতে। পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে সমস্ত পাহাড়ী নদীর জল বেড়ে যাচ্ছিল। যে কারণে সমতলেও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে নদীগুলি। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের সুখানি নদীর জল বেড়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার মনমোহনধুরা যাওয়ার পথে সেতুর উপর দিয়ে বইছিল সুখানির জল। ওই সেতুর উপর দিয়ে মনমোহনধুরার মানুষ যাতায়াত করেন। বৃহস্পতিবার থেকে ওই সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় মনমোহনধুরা গ্রামের সঙ্গে নাগরাকাটা বাজারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। তারপর থেকে ভোগান্তি বেড়েছে বই কমেনি।
কদিন ধরেই ঘন কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জেলা। আবহাওয়া দফতর আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল উত্তরবঙ্গে কয়েকটি জেলায় বাড়ি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও ছবিটা বদলায়নি।
আরও পড়ুন: Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের শেষ নেই সিকিমে! উদ্ধারকাজে এবার ভারতের সাহায্য চাইল সিকিম সরকার...
ওদিকে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে আজ সাতসকালে শুরু হয়ে গিয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি। এভাবে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি চলতে থাকলে বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা জলপাইগুড়ি জেলা জুড়েও।