নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার জেরে যাদবপুরের হাত ধরে ফের ফিরল ভেষজ আবির। ইতিমধ্যেই রমরমিয়ে শুরু হয়েছে মারকাটারি ব্যবসা। তবে ভেষজ আবিরের নামে বাজারে ছেয়েছে জাল রাসায়নিক আবিরও। তাতে রয়েছে মারাত্বক লেড ক্রোমেডের উপস্থিতি। শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্বক ক্ষতিকর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা সতর্কতার পর দোল বা হোলি নিয়ে সাবধানী হয়েছেন অনেকেই। বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমআদমির পক্ষে হোলি থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখাটাও যে অসম্ভব। তাই বাজারে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে ভেষজ আবিরের। ২০০৮ সালে ভেষজ আবির প্রথম তৈরি করে পথ দেখায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। ফুলের পাপড়ির নির্যাস থেকে তৈরি হওয়া সেই হার্বাল আবিরের দাম অনেকটায় বেশি হওয়ায় চাহিদা বিশেষ তৈরি হয় না। ফলে বাজার না পাওয়ায় ধীরে ধীরে বন্ধ হয় আবিরের উৎপাদন। এবার সেখানেই ব্যাতিক্রমী ছবি। 


আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতীর বিতর্ক খতিয়ে দেখতে বিশেষ দল গঠন লালবাজারে, তদন্তে সাইবার বিশেষজ্ঞরাও


করোনার জেরে হঠাৎই হোলির মুখে মারকাটারি চাহিদা তৈরি হয়েছে ভেষজ আবিরের। চাহিদা বুঝে যাদবপুরের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনীরা ফের বাজারে এনেছেন ভেষজ আবির। কিন্তু চাহিদা যা তার যোগান কই? কলকাতা শহরে ৫টি স্টল করে আসল ভেষজ আবির বিক্রি করছেন প্রাক্তনীরা। যাদবপুর, গড়িয়াহাট, জোড়াসাঁকো, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে বসেছে সেই স্টল। এ তো গেল আসল ভেষজ আবিরের কথা। কলকাতার বাজার যে অন্য কথা বলছে।  ১০০ শতাংশ ভেষজ আবিরের লেবেল সাঁটিয়ে সর্বত্র যা বিক্রি হচ্ছে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


ইন্ডিয়ান সোস্যাইটি ফর লেড অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড রিসার্চের বিজ্ঞানীরা কলকাতার বাজার থেকে সম্প্রতি এমনই ভেষজ আবিরের নামে বিক্রি হওয়া আবিরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে রীতিমত তাজ্জব বনে গিয়েছেন। আবিরে সিসা বা লেডের মাত্রা যেখানে শুন্য থাকা উচিত সেখানে প্রতি কেজি আবিরে সীসার মাত্রা ৪২ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এই সিসা নিশ্বাস বা মুখের মাধ্যমে পেটে গেলে কিডনি থেকে শুরু করে শ্বাসরোগের বিবিধ সমস্যা হতে পারে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন: ঋতুমতী মহিলাকে প্রেক্ষাগৃহের শৌচালয় ব্যবহারে বাধা, চাঞ্চল্য হাতিবাগানে


শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বড়দের তুলনায় ১০ গুন বেশি। ন্যাশনাল রেফারাল সেন্টার ফর লেড প্রজেক্টস ইন ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ শাখার অধিকর্তা বিজ্ঞানী কৃষ্ণজ্যোতি গোষ্ণামী বলেন “করোনা ভাইরাসের মতই কলকাতার বাজারে ছড়াচ্ছে জাল কেমিক্যাল আবির। অবিলম্বে নজরদারি দরকার।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অরুনাভ পাত্র বলেন, “বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ভেষজ আবির পৌঁছে দিতে পারছি না। সেই সুযোগেই জাল আবিরের কারবার শহর জুড়ে। টকটকে রংয়ের গাঢ় আবিরের মোহ থেকে বেড়িয়ে আরও সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। ”