নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার অনাস্থা প্রস্তাব ইস্যুতে বৈঠক আজই হবে। চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। পৌরসভার অনাস্থা সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন গঙ্গারামপুরের পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র। সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “অনাস্থা ইস্যুতে বৈঠক যখন আজই হওয়ার কথা ছিল, আজই করতে হবে। গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা মৌলিক অধিকার। সেটা মানতেই হবে।” অর্থাত্ হাইকোর্টে চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, সোমবারই গঙ্গারামপুর পৌরসভার আস্থাভোট। কিন্তু মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে বলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল। আর সেই কারণে তিনি, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ ৮ কাউন্সিলর এদিনের অনাস্থা প্রস্তাবের ইস্যুতে ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন না বলেও জানিয়ে দেন। কিন্তু এদিন হাই্কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ করে দেয়।


বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত মামলাকারীকে বলেন, “নোটিশ অনুযায়ী কাউন্সিলররা কাকে ভোট দেবেন সেটা বৈঠককক্ষে ঠিক হবে। প্রত্যেক কাউন্সিলরের গনতান্ত্রিক অধিকার আছে আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার। গনতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মৌলিক অধিকার।” এরপরই তিনি মামলাটি খারিজ করে দেন।


রেললাইনের ধারে গৃহবধূর দেহ, দু-হাত দূরে পড়ে মুণ্ড, রহস্য কাকদ্বীপে


উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুর বিধানসভায় এই অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল বিপ্লব মিত্রর বিজেপিতে যোগদানের পর। লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাটে তৃণমূলের হারের পিছনে দলীয় নেতৃত্বকে দায়ী করে তৃণমূল ছাড়েন তিনি। এরপরই বিপ্লব মিত্রের ভাই তথা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল।


১৮ টি ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুর পুরসভায় ১০ জন কাউন্সিলরই ছিলেন প্রশান্ত মিত্রের পক্ষে। গত ১৬ জুলাই গঙ্গারামপুরের ভাইস চেয়ারম্যান ৫ আগস্ট আস্থা ভোট করার নোটিস দিয়েছিলেন। বিজেপিতে যোগদান করা সেই ভাইস চেয়ারম্যানের নোটিসে্র বিরুদ্ধে পাল্টা নোটিস এনে তৃণমূলের তিন কাউন্সিলর জানায়, ৫ আগস্টের বদলে ২৩জুলাই আস্থা ভোট করা হবে। আদালতের আরও নির্দেশ ছিল প্রথম নোটিস অনুযায়ী আগামী ৫আগষ্ট ভোট হবে। তবে অনাস্থা ভোটের আগে সমস্ত কাউন্সিলরকে পুলিস নিরাপত্তা দিতে হবে। এদিন প্রশান্ত মিত্রের আবেদন খারিজ হওয়া যাওয়ায় গঙ্গারামপুর পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে আর কোনও বাধা রইল না।