নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাটপাড়ায় ধাক্কা খেল তৃণমূল। হাইকোর্টের নির্দেশে খারিজ হয়ে গেল অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি প্রক্রিয়া। ফলে ১৯-০তে বোর্ড পুনর্দখল করেও লাভ হল না তৃণমূলের। ভাটপাড়ার ভবিষ্যত ঝুলে রইল হাইকোর্টেই। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কাল ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকালে কনফিডেন্স বদলে গেল সন্ধেয়। ভাটপাড়ায় অনাস্থা ভোটাভুটি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। অর্জুন সিং পদ্মশিবিরে নাম লেখানোর পর থেকেই টানাপোড়েনের শুরু ভাটপাড়ায়। লোকসভা ভোটের ঠিক পর তৃণমূলের কাউন্সিলরদের ভাঙিয়ে ভাটপাড়া দখলে আনে বিজেপি। নভেম্বরে ফের জার্সি বদলান ১৪ জন। ফেরেন শাসক শিবিরে।


ভাটপাড়া পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩৫। ১ জন কাউন্সিলর সাংসদ হয়েছেন ও ১ জন কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর বর্তমানে বোর্ড হচ্ছে ৩৩ জন কাউন্সিলরের। এখন ৩‍৩ কাউন্সিলরের পুরবোর্ডে ম্যাজিক ফিগার ১৯।  লোকসভা ভোটের পর অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে ২৬ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূলের সঙ্গে থেকে যান ৫ জন। আর বাকি একজন সিপিআইএম কাউন্সিলর। ফলে বোর্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূলের।


এখন নভেম্বরে ফের জার্সি বদল করে ১৪ কাউন্সিলর তৃণমূলে ফেরেন। ফলে শাসক দলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯। বিজেপি কমে দাঁড়ায় ১৩-য়। এরপরই আজ বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। ভোটাভুটিতে ১৯-০তে বোর্ড দখল করে নেয় শাসক দল। কিন্তু স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।


আরও পড়ুন, NRC-CAA নিয়ে বিরোধিতার মধ্যেই জানুয়ারিতে ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী


পুরো প্রক্রিয়া-ই বেআইনি দাবি করে হাইকোর্টে মামলা ঠোকে পদ্মশিবির। এরপর দিনভর শুনানি চলে। আদালতের রায়ের পরই  হাওয়া ঘুরে যায়। বিচারপতি অরিন্দম সিনহা অনাস্থা ভোটাভুটি প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। আদালতের রায়ে স্বভাবতই চাঙ্গা অর্জুন সিংরা। তবে একটুর জন্য ফস্কে গেলেও হার মানছে না ঘাসফুল শিবির। এবার আদালতে যাচ্ছে তারাও। দিনের শেষে, ভাটপাড়া পুরবোর্ডে ভবিষ্যত ঝুলে রইল সেই আদালতেই।