মনোজ মণ্ডল: ইলিশ রফতানির উপরে বেশকিছু বাধানিষেধ ছিল। হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষ্যে সরল সেই বাধা। সোমবার ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা। আর এদিনই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকল পদ্মার ইলিশ। রঙে, ওজনে নজরকাড়া মোট ৪ টন ইলিশ এসে পৌঁছেছে পেট্রাপোল সীমান্তে। রাতেই তা কলকাতায় চলে আসবে। রাতে আরও একটি ট্রাকে আরও ৪ টন ইলিশ এসে যাচ্ছে রাজ্যে। এবার মোট ২৪৫০ টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার কথা রয়েছে। পেট্রাপোলের কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট ফিরোজ মণ্ডল সংবাদমাধ্য়মে বলেন, আজ মোট ৮ টন ইলিশ ভারতে ঢোকার কথা। এছাড়াও আরও একটি ট্রাক আসার কথা রয়েছে। মোট ৪৯ জন এজেন্ট প্রত্যেকে ৫০ টন ইলিশ ভারতে পাঠাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ডু-অর-ডাই ম্যাচে নামছে ভারত! রোহিত জানালেন ঠিক কোথায় সমস্যা!


২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারপর থেকে কলকাতার বাজারে ইলিশ আসা কার্যত বন্ধ ছিল। ফলে খাদ্যরসিক বাঙালি পদ্মা অথবা মেঘনার ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু গত তিন বছরের মত এই বছরেও দুর্গা পুজোর আগে ইলিশ রফতানিতে সম্মতি দেয় বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক। সেইমতো গতকাল ফিস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনে তারা চিঠি পাঠায়। এই বছরে ২৪৫০ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ আমদানির অনুমতি দেয় ওই দেশের সরকার। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ মাছ আমদানি সম্পূর্ণ করতে হবে।
আগামিকাল মঙ্গলবার প্রথম দিনে ১০০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে আসার কথা। এরপর প্রতিদিনই একই পরিমাণ মাছ ঢুকবে। ফিস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার এখনও ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। তবে এবারের ইলিশ রফতানি বিশেষ নির্দেশের বলে আসছে।


বর্ষার খামখেয়ালিপনায় এই বছর বাজারে নেই ইলিশ। দক্ষিণবঙ্গে ১৩ জুন মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করলেও ২২ জুন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হয়নি দক্ষিনবঙ্গে। উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এইসময় রাজ্যের ইলিশের ন্যূনতম দৈনিক চাহিদা ৮০ থেকে ১০০ মেট্রিক টন। বর্তমানে জোগান রয়েছে মাত্র ৩৫ মেট্রিক টন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)