প্রদ্যুত্ দাস: জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের মহরমের মাঠ। কথিত আছে আজ থেকে বহু বছর আগে এক হিন্দু পরিবার এই জমিটিতে গ্রাম ঠাকুরের মন্দির নির্মাণ করে জমিটি মন্দির কমিটির হাতে তুলে দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেইসময় স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে মহরমে শোভাযাত্রা করার মাঠ ছিল না। তাই তারা মহরম উদযাপন করার জন্য স্থানীয় মন্দির কমিটির কাছে অনুমতি চায়। অনুমতি দেয় মন্দির কমিটি।


আরও পড়ুন-মণিপুরের হিংসা বুক কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো, মানবতার শিখা জ্বালিয়ে রাখবে 'ইন্ডিয়া'


এরপর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মহরমের দিন গ্রাম ঠাকুরের পূজো দিয়ে মহরম খেলে। কথিত আছে সেইদিন স্থানীয় হিন্দুরাও লাঠি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। সেই থেকেই ওই রেওয়াজ আজও চলে আসছে। মহরমের দিন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা গ্রাম ঠাকুরের পূজো দিয়ে হিন্দুদের সঙ্গে নিয়ে মহরম উদযাপন করে।



গতকাল ছিল মহরম। পরম্পরা মেনে গ্রাম ঠাকুরের মন্দিরে দিনভর পূজো দেয় হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এরপর সন্ধ্যায় প্রথমে নিরবতা পালন করা হয়। তারপর হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায় মিলে শুরু হয় মহরম উপলক্ষে লাঠিখেলা। এদিন কারবালা ময়দানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা প্রাক্তন প্রধান কৃষ্ণ দাস। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বিমলা ছেত্রী রায় ও জেলাপরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য প্রণয়িতা দাস। এদিন পাহাড়পুর কারবালা মহরম উৎযাপন কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে ১৪টি দল লাঠি খেলায় অংশগ্রহণ করে বলে জানা গেছে।


মন্দিরের সেবাইত হরেন পাল বলেন আমদের এখানে হিন্দু মুসলিম নিয়ে কোনও ভেদাভেদ নেই। আমরা এখানে সকলে মিলেমিশে থাকি। এই গ্রামে যে কোনও সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিয়ে,অন্নপ্রাসন যাই হোক না কেন সেই উপলক্ষে এই মন্দিরে পূজো দেয়। মহরম উপলক্ষেও এখানে পূজো দেয় স্থানীয় মানুষেরা।


মহরম কমিটির বিশেষ উপদেষ্টা মকবুল হোসেন বলেন এই গ্রামে হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নেই। আমরা সকলে মিলেমিশে থাকি। তাই আমাদের মহরমের লাঠি খেলায় হিন্দুরাও অংশ গ্রহন করে। আমরা সকলে মিলেমিশে লাঠি খেলে যে যার বাড়ি ফিরে যাই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)