উদ্বিগ্ন রাজনাথের ডাকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে বাবুল
কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে ফের মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেজন্য ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আসানসোলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রের প্রস্তাব খারিজ করে নবান্নের দাবি, আসানসোল- রানিগঞ্জের পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য পুলিসই যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু রানিগঞ্জ- আসানসোলে অশান্তির ঘটনায় কেন্দ্র যে কোনওভাবেই রাজ্যকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়, তার প্রমাণ এদিনের ঘটনা। আসানসোল সাংসদ বাবুলকে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বৃহস্পতিবার আসানসোল যাওয়ার পথে বাবুলের গাড়ি আটকে দেয় পুলিস। তারপরই মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ। বিনা কারণে তাঁকে আসানসোলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন বাবুল। একইসঙ্গে ফের দাবি করেন, রাজ্য পুলিস পরিস্থিতি সামলাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। তাই আসানসোলে অবিলম্বে আধাসেনা মোতায়েনের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন, আসানসোলে যেতে বাধা বাবুল-লকেটকে; পথে আটকাল পুলিস
এই ঘটনার পরই ডিউটিরত পুলিসকর্মীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে রাজ্য পুলিস। পাশাপাশি, তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগে রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর দায়ের করেন বাবুলও। এরপরই এদিন বাবুলকে ফোন করে দিল্লিতে ডেকে পাঠান রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই দিল্লির উদ্দেশে তড়িঘড়ি রওনা দেন স্থানীয় সাংসদ। বাবুলের কাছ থেকে আসানসোলের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
আরও পড়ুন, হেনস্থা! পুলিসের বিরুদ্ধে পালটা এফআইআর বাবুলের
অন্যদিকে, আজ আসানসোলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। প্রতিটি বাসস্ট্যান্ড থেকেই বাস চলছে, যদিও যাত্রীসংখ্যা খুবই কম। আসানসোল বাজারও এদিন খুলেছে। গোটা আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়েই কড়া টহল দিচ্ছে পুলিসের ভ্যান। নজরদারি চলছে জেলার সীমান্ত এলাকাতেও। একইসঙ্গে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে ফের মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেজন্য ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আসানসোলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।