নাড্ডার কনভয়ে `হামলা`, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে দিল্লিতে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
রাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তলব বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ দিল্লিতে ডাকা হয়েছে তাঁদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাড্ডার দু-দিনের রাজ্যসফরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল রাজ্য। তাঁকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। আর তার ওপর 'হামলা'র অভিযোগেই কড়া কেন্দ্র। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আজ সকালে কালকের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই তলব বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ দিল্লিতে ডাকা হয়েছে তাঁদের।
নাড্ডার সফরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে সরব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। এর আগে কালই নাড্ডার নিরাপত্তার গাফিলতি অভিযোগ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রদফতরকে চিঠি দেয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর সেই চিঠিই নবান্নে পাঠিয়ে কার্যত কৈফিয়ত চায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: যা ঘটল তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইলে ওঁর সম্মানই বাড়বে: রাজ্যপাল
এরপরেই রাজ্যপালের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। রাজ্যপালের পাঠানো রিপোর্টেও রাজ্যের আইশৃঙ্খলার তীব্র নিন্দা। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয় কেন্দ্রের কাছে। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্যপালের দফতরে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জেপি নাড্ডার কনভয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল না। আগে থেকে সমস্ত খবর থাকা সত্বেও প্রশাসন যথাযথ ব্য়বস্থা নেয়নি। নাড্ডার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিসের গা ছাড়া মনোভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর।
সবমিলিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কে চাপানউতোর চলছেই। এর আগেও রাজ্য়ের বিভিন্ন ইস্য়ুতে রাজ্যের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যও নিজের মতো করে রিপোর্ট পাঠিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তবে নির্বাচনের কয়েকমাস আগে সরাসরি ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রাক্তন ডিজি ভূপিন্দর সিং বলছেন, 'আগে আমার সময়ে এমন ঘটনা ঘটেনি। দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়নি। সিপিআইএম ও তৃণমূলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রিপোর্ট চেয়েছে। আমরা তখন বিশদে রিপোর্ট দিয়েছি''।
আরও পড়ুন: ছাদ থেকে উদ্ধার বড় ছেলের কঙ্কাল, বাবার অভিযোগে গ্রেফতার মা ও ভাই
অন্যদিকে, ডিজি ও মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, 'দিল্লি ডাকুক। রাজ্যপাল ডাকুন বা প্রধানমন্ত্রী ডাকুন, তাতে কিছু এসে যায় না। মানুষই শেষ কথা বলবে'। পাশাপাশি গতকালের ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলছেন, 'প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে বাংলায়। সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানকে অশ্রদ্ধা করছেন। অরাজকতা চলছে'।