নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আইন-শৃঙ্খলায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাও স্মরণ করিয়ে দিল কেন্দ্র।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে সংঘর্ষের খবর। গতকাল হাটগাছিতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট দে মুকুল রায়। রবিবার নবান্নে 'উপদেশ' পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আইন-শৃঙ্খলা একেবারেই রাজ্যের এক্তিয়ারে। ফলে সরাসরি কোনও নির্দেশিকা। সে কারণেই রাজ্যকে পরামর্শের আড়ালে কার্যত পাঠানো হল সতর্কবার্তা। 



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তি ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। কোনও অফিসারের কাজে গাফিলতি পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।       


গতকাল রাজ্যের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে মুকুল রায় বলেছিলেন,''শুধু বসিরহাটেই নয়, গোটা রাজ্যে হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণে বসিরহাটে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এলাকায় যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল''।


এদিন আবার বিজেপির নিহত দুই কর্মীর দেহ নিয়ে টানাপোড়েন চলে মালঞ্চ ও মিনাখাঁ মোড়ে। দুই কর্মীর দেহ কলকাতার নিমতলা শ্মশানে সত্কার করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই অনুমতি দেয় পুলিস। মালঞ্চ মোড়ে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর শবদাহী গাড়ি নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে এগিয়ে চলেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর মিনাখাঁয় রাস্তার মাঝে আড়াআড়ি গাড়ি রেখে দেয় পুলিস। সেখানেই রাস্তায় কাঠ ফেলে দেহ দাহ করার বন্দোবস্ত করেন বিজেপি কর্মীরা। প্রায় দেড়ঘণ্টার টানাপোড়েনের পর সন্দেশখালিতেই সত্কার করতে রাজি হয় বিজেপি। জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা জানান, আগামিকাল ১২ ঘণ্টার বসিরহাট মহকুমা বনধ পালন করবে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালন করব। ১২ জুন মহাধিক্কার মিছিল করা করবে। ওয়েলিংটন স্কোয়্যার থেকে লালবাজারে যাবে বিজেপি। হাজার হাজার মানুষকে ওই মিছিলে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।           


আরও পড়ুন- বিজেপির ৩ কর্মীর দেহ নেই, নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি করলেন মমতা, বিস্ফোরক মুকুল