ওয়েব ডেস্ক: ফের সালিশির মাতব্বরি। বিচারের নামে কিশোরকে মারধর। কয়েক ঘণ্টা পরই রেল লাইনের ধারে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার।  প্রত্যন্ত এলাকা নয়, হুগলির চুঁচুড়ার ঘটনা। পাড়ারই একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গণ্ডগোল। পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ মৃতের পরিবারের। মেয়ের বাড়ির দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিস।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বয়স মাত্র আঠেরো। এরই মাঝে জীবন শেষ। চুঁচুড়ার রেল লাইন লাগোয়া মৌলি পাড়ার বাসিন্দা শ্রীবাস মণ্ডলের মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন অনেক। 
 
পাড়ার একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল। অভিযোগ, গত বুধবার শ্রীবাসকে বেধড়ক মারধর করে মেয়ের বাড়ির লোকজন। মিটমাটের জন্য সালিশি সভা ডাকা হয়, যেখানে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বর্ণালী রায়। সালিশি চলাকালীনও শ্রীবাসকে পেটানো হয়। মারধরের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যাও। 


শ্রীবাসের পরিবারের দাবি, সালিশি সভা শেষ হওয়ার পরই কৃষ্ণ ভক্ত নামে এক যুবক শ্রীবাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সালিশি সভার মধ্যেও কৃষ্ণ ভক্তই শ্রীবাসকে মারধর করেছিল। তারপর থেকে ওই কিশোরের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাড়ির কাছাকাছিই রেল লাইনে শ্রীবাসের  দেহ উদ্ধার হয়। খুন করে দেহ লাইনে ফেলে দেওয়া হয়, অভিযোগ পরিবারের। তাঁদের দাবি, মেয়েটির বাড়ি থেকে লাগাতার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। 


ঝামেলা একদিনের নয়। মারধর, হুমকি, জলও গড়ায় অনেক দূর। তবু কেন আগেই পুলিসকে জানানো হল না? কেন সালিশি সভা বসিয়ে মিটমাটের চেষ্টা? বিতর্ক বাড়াচ্ছে এই প্রশ্ন। 
ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মেয়েটির বাড়ি সহ আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খুন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।