`কোলাকুলিতেই মিটবে গ্যাপ!` আগামিকাল হুগলির তৃণমূল নেতৃত্বকে অভিষেকের অফিসে তলব
`কোলাকুলি করে যা গ্যাপ আছে, সেটাকে পূরণ হবে। যেখানে মনের মিল নেই, সেটা কোলাকুলির মাধ্যমে ঠিক হয়ে যাবে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিরোধ মেটাতে হুগলির তৃণমূল নেতাদের বৈঠকে ডাকলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়! গত কয়েকদিন ধরে হুগলি জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ সামনে এসেছে। দলের রাজ্য নেতৃত্ব যখন একজোট হয়ে কাজ করতে বলছেন, তখন হুগলিতে তার বিপরীত ছবি দেখা যাচ্ছে। একজন সাংসদ ও ৩ জন বিধায়ককে কো-অর্ডিনেটার করেছে দল। জেলার সমস্ত কর্মসূচিই সভাপতি ও কো-অর্ডিনেটাররা মিলে স্থির করার কথা। কিন্তু সেই কো-অর্ডিনেটাররা-ই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।
প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্না, অপরূপা পোদ্দার সবাই-ই তাঁদের বক্তব্যে সভাপতির কাজে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। সভাপতির কাজে কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়ছে বলে গতকাল অভিযোগ করেছেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্নারাও সভাপতিকেই নিশানা করে বক্তব্য পেশ করেন। যারফলে দলের ঐক্যের বদলে কলহের ছবিটা-ই সামনে আসছে বার বার। এদিনও চুঁচুড়ায় অপরূপা পোদ্দার আবার বলেন, দলের পুরোনো কর্মীরা জায়গা পাচ্ছে না। কোনও কর্মসূচি স্থির হলে, তাঁরা জানতে পারছেন না। কর্মীরা ফোন করে অনুযোগ -অভিযোগ করছেন। তিনি নিজে একজন কো-অর্ডিনেটার হওয়া সত্ত্বেও, তাঁকে কিছু জানানো হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, হুগলি তৃণমূলে বারংবার এভাবে বিভেদ-বিরোধের ছবি সামনে আসতেই এবার নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিরোধ মেটাতে বুধবার বিকাল ৪টেয় ক্যামাক স্ট্রিটে যুব সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অফিসে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "আমি মনে করছি যে আমরা তো বিজয়ার পর কোলাকুলি করি। কোলাকুলি করে যা গ্যাপ আছে, সেটাকে পূরণ হবে। যেখানে মনের মিল নেই, সেটা কোলাকুলির মাধ্যমে ঠিক হয়ে যাবে। আগামী দিনে হুগলি জেলায় তৃণমূল যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনই থাকবে।"
আরও পড়ুন, প্রকাশ্যেই 'বেলাগাম' দলীয় নেতৃত্ব, এটাই নাকি 'স্ট্র্যাটেজি'! ফাঁস তৃণমূলের হাঁড়ির খবর
আরও পড়ুন, জেলা সভাপতি দিলীপের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়ালেন সাংসদ অপরূপা, হুগলি তৃণমূলে আরও স্পষ্ট হল 'ফাটল'