Malbazar: অজ্ঞাতবাস ছেড়ে মূর্তিতে স্বমূর্তিতে হাজির! আর হঠাৎই `কালী`-দর্শনে উল্লসিত পর্যটকদল...
Malbazar: মূর্তি এলাকায় বেড়াতে এসেছেন কিন্তু `কালী`কে চেনেন না, এমন পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। সেই কালীকে বেশ কয়েকমাস ধরে দেখা যাচ্ছিল না। পর্যটকেরাও কালীর আশায় এসে তাকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। তবে, আবারও দেখা গিয়েছে কালীকে। খুশি পর্যটকেরা।
অরূপ বসাক: মূর্তি এলাকায় বেড়াতে এসেছেন কিন্তু 'কালী'কে চেনেন না, এমন পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু এ-হেন কালীকে বেশ কয়েকমাস ধরে দেখা যাচ্ছিল না। পর্যটকেরাও কালীর আশায় এলাকায় এসে তাকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। তবে, অনেক দিন পরে আবারও দেখা গিয়েছে কালীকে। ফলে যথারীতি খুশি পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন: Malbazar: রুদ্ধশ্বাস! রাতের অন্ধকারে গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে প্রচুর সেগুন কাঠ উদ্ধার বনকর্মীদের...
কে এই কালী? কালী মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের মূর্তি এলাকার একটি পোষ্য ঘোড়া। পর্যটকদের নিজের পিঠে চাপিয়ে মূর্তি নদীর পাড় বরাবর ভ্রমণ করায় সে। তবে বিগত প্রায় দু'মাস ধরে মূর্তি নদী-সংলগ্ন এলাকায় কালীর দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না।
কেন? জানা গিয়েছে, গর্ভবতী হওয়ার কারণে তাকে প্রায় দুমাস বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কালীর পিঠে চেপে ঘুরবেন এই আশায় যেসব পর্যটকেরা এই সময়-পর্বে মূর্তিতে আসছিলেন কালী না থাকায় তাঁদের বিফলমনোরথ হয়ে ফিরতে হচ্ছিল। শেষমেষ প্রায় দু'মাস পরে ফের পর্যটকদের আনন্দ দিতে মূর্তিতে স্বমূর্তিতে হাজির কালী!
৪১ দিন আগে একটি সাদা ফুটফুটে মেয়ে-শাবকের জন্ম দিয়েছে কালী। শিশু ঘোটকীর নাম রাখা হয়েছে ঝুমকি। আর এই মুহূর্তে কালী এবং তার শাবক ঝুমকি একসঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে মূর্তি এলাকায়। মেয়ে ঝুমকিকে সঙ্গে নিয়েই নিজের দৈনন্দিন কাজ করছে কালী। তবে এই মুহূর্তে পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কম থাকায় সওয়ারি তেমন পাচ্ছে না তারা। পর্যটকদের পিঠে নিয়ে ঘোরানোর ফাঁকে মেয়ের কাছে গিয়ে মেয়েরক দুধও খাওয়াচ্ছে কালী।
আরও পড়ুন: Athens: সাহারায় শিহরন, এদিকে কমলা ধুলোমেঘে ঢাকল এথেন্স!
ঘোড়াটির মালিক কৃষ্ণা যাদব বলেন, গর্ভবতী থাকাকালীন কালীকে দিয়ে কোনও কাজ করানো হয়নি। এখন তার মেয়ের বয়স ৪১ দিন। নাম রাখা হয়েছে ঝুমকি। ঝুমকিকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ঘাসও দেওয়া হচ্ছে। কালীর পাশাপাশি ঝুমকিকে দেখার জন্যও মূর্তিতে ভিড় হচ্ছে। ছবিও তুলছেন অনেকে। তবে এখন পর্যটকদের সংখ্যা বেশ কম। গরমের কারণেই হয়তো পর্যটক কম আসছে।