নিজস্ব প্রতিবেদন:  রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে সুস্থ মানুষকেই সরাসরি মৃত্যুর নোটিস ধরিয়ে দিল হাসপাতাল। চিকিত্সকের নিদানে কার্যত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দু’বার। পরে অন্য পরীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ৩ কোটি টাকার প্রকল্পে তৈরি হবে সরকারি রসগোল্লা


বীরভূমের ইলামবাজারের টিকরবেতা গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক প্রতিবেশী এক ব্যক্তির অসুস্থতার সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই ব্যক্তিকে গত ২৩ জানুয়ারি রক্ত দেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, রক্তদানের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানায়, তাঁর রক্তে কোনও সমস্যা রয়েছে। চিকিত্সকের পরামর্শে ওই হাসপাতালেই রক্ত পরীক্ষা করান ওই যুবক। হাসপাতালে রিপোর্ট হাতে পাওয়া পর, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই যুবক। রিপোর্টে তাঁকে HIV+ বলে উল্লেখ করা হয়।


যুবকের পরিবারের দাবি, এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একবার বাড়িতে সবার অনুপস্থিতিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় এক যুবক জানলা দিয়ে বিষয়টি দেখে ফেলায়, তাঁকে প্রাণে বাঁচান। এরপরও একবার বিষ খাওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। তবে সেবারও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।


আরও পড়ুন: এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ মেয়ে, মাকে আজব পরামর্শ দিল পুলিস!


এরপর কলকাতা ও বর্ধমানে দু’বার ওই যুবকের রক্তপরীক্ষা করা হয়। আর তারপরই বদলে গেল তাঁর গোটা পৃথিবীটাই। পরীক্ষায় জানা যায়, HIV আক্রান্ত নন ওই যুবক। দু'ক্ষেত্রেই রক্তপরীক্ষা রিপোর্টে দেখা যায়, তিনি আদৌ HIV+ নন। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃতপ্রায় অবস্থা থেকে নতুন করে বেঁচে ওঠেন।


এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে যুবকের পরিবার। প্রশাসনের কাছে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এরপরও প্রশ্ন উঠছে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কীভাবে এত বড় ভুল করল দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? ‌যুবক ‌যদি আত্মহত্যার চেষ্টায় সফল হতেন তবে তার দায় নিত কে?