মসিহা আবদুস, হতদরিদ্র মানুষদের জন্য ঝাঁ চকচকে আধুনিক হাসপাতাল গড়লেন প্রত্যন্ত কালিকাপুরে
২০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক প্রসূতি, আইসিসিইউ, নবজাতকদের জন্য আলাদা বিভাগ, এছাড়াও তৈরি করা হয়েছে আধুনিক অপেরেশন থিয়েটার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে থেকেই দাতব্য চিকিৎসালয় খুলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকতে চাননি। স্বপ্ন ছিল, হতদরিদ্র গ্রামীণ এলাকার মানুষগুলো যাতে সুচিকিত্সা পায়, তাই একটা হাপাতাল গড়ার। সেই ভাবনা থেকেই লড়াই শুরু। দীর্ঘ লড়াই পেরিয়ে আজ গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলোর জন্য আধুনিক প্রসূতি বিভাগ, আইসিসিইউ সবটাই গড়ে তুলেছেন আবদুস সামাদ।
হাসপাতাল তৈরি করতে অর্থ প্রয়োজন। তাই শুরু করেন বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ানো। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেন। তারপর সেই টাকায় প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া কালিকাপুর গ্রামে গড়ে তোলেন হাসপাতাল। সেই শুরু... রক্তজল করা পরিশ্রমে তিল তিল করে গড়ে তোলেন তাহিরিয়া হাসপাতালকে। প্রথম দিকে সেভাবে সাহায্য মেলেনি। তবে পরবর্তীতে অনেকেই আবদুস সামাদের পাশে দাঁড়ান। সাহায্য মিলতেই একটু একটু করে হাসপাতালটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সামাদ।
শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালে। কলকাতা থেকে ডাক্তার এনে আউটডোর পরিষেবা দিয়ে শুরু হয়েছিল তাহিরিয়া হাসপাতাল। এলাকার গরিব মানুষরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ পেতে শুরু করেন অনায়াসেই। তবে বড় অপারেশনের জন্য তাঁদের সেই কলকাতাতেই ছুটতে হত। সেখান থেকে আবার ভাবনা শুরু... কী করে এই হাসপাতালেই গ্রামের মানুষকে আধুনিক পরিষেবা দেওয়া যায়? কী করে গ্রামবাসীদের দূরে কলকাতায় ছোটার পরিশ্রম ও সমস্যা লাঘব করা যায়? এক জায়গায় এক ছাতার তলাতেই যাতে তাঁরা সব সুবিধা পেয়ে যান।
সেই ভাবনা থেকেই অবশেষে তাহিরিয়া হাসপাতালে গড়ে উঠল ২০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক প্রসূতি। গড়ে উঠল আইসিসিইউ। গড়ে উঠল নবজাতকদের জন্য আলাদা বিভাগ। এছাড়াও তৈরি করা হয়েছে আধুনিক অপেরেশন থিয়েটার। ট্রাস্টের কর্ণধার ও আবদুস সামাদ বলেন, "এলাকার মানুষকে যাতে কলকাতায় দৌড়াতে না হয়, তারজন্যই এই চেষ্টা। তবে স্বপ্নপূরণের কাজ এখনও বাকি।" এদিকে আধুনিকা পরিষেবা যুক্ত ঝাঁ চকচকে হাসপাতাল পেয়ে খুশি গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন, সরকারি টাকায় বিজেপির অনুষ্ঠান করেন প্রধানমন্ত্রী, PM Modi-কে আক্রমণ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের