নিজস্ব প্রতিবেদন: ওঁরা  বাঁচতে চেয়েছিলেন। বাঁচতে দিল না স্বামী। শ্বশুরবাড়ি। কোথাও পণের দাবি কোথাও বা বাবার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ। গায়ে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে দিল অতি আপনজনেরা। একই ঘটনার সাক্ষী হল মালদা, বীরভূম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদার হবিবপুরে পণের দাবিতে বধূকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। পেশায় কৃষক সুমিতকে বছর দুয়েক আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন শ্রমিক পরিবারের মেয়ে রাজশ্রী। অল্পদিনের মধ্যেই মনের মানুষ যে এমন রং বদলাবে যাবে তা কে জানত! বিয়ের পরই শুরু হয় পণের দাবিতে অত্যাচার।  সমস্যা মেটাতে সালিশি সভাও বসে। কিন্তু দাবি কমেনি।  কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের শুরু হয়েচিল মারধর। এবার একেবারে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা। শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গেছে রাজশ্রীর। 


আরও পড়ুন, ঘরের কাজ না করায়, মায়ের বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী কিশোরী


একই ঘটনা বীরভূমেও। বধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এক সপ্তাহ লড়াই শেষে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর কাছে হার মানল বীরভূমের লোকপুর থানা এলাকার অর্পিতা বাগদি। পেশায় ট্রাক চালক রঞ্জিত বাগের সঙ্গে অর্পিতার বিয়ে হয়েছিল মাত্র ৬ মাস। বিয়ের ২ মাস পর থেকেই  শুরু হয় মারধর। বারবারই অর্পিতাকে বাবার বাড়ি ফিরে যেতে বলতেন রঞ্জিত। সিউড়ি হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় অর্পিতাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।