নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের চার মাসের মধ্যেই করুণ পরিণতি প্রেমের। নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী সোনারপুর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর খানেক আগে সোনারপুরের রাঘবপুরের বাসিন্দা রোহিত তরফদারের সঙ্গে আলাপ হয় জগদ্দল তরফদার পাড়ার বাসিন্দা রাখী তরফদারের। চলতি বছরের জুলাই মাসে দুজনের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পরই শুরু হয় অত্যাচার। পণের দাবিতে রাখীর উপর নির্যাতন শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।


আরও পড়ুন, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে মেয়ে, মা নিল চরম সিদ্ধান্ত


কখনও  বাড়ি বানিয়ে দেওয়া, কখনও গাড়ি কিনে দেওয়া, নানা বিষয়ে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য রাখীর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী রোহিত। অভিযোগ, কথা না শুনলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হত। চলত মারধোরও। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে চলে আসে রাখী।


আরও পড়ুন, বিষমদ কাণ্ডে মৃত বেড়ে ১১, ক্লোজ করা হল শান্তিপুর থানার ওসিকে


এরপর বুধবার রাতে ফোনে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। এদিন সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় রাখীর ঝুলন্ত দেহ। সকালে বাড়ির লোক অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পায়নি। তাতেই সন্দেহ হয়। তারপর জানলা দিয়ে ঘরের ভিতর উঁকি মারতেই, রাখীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা।


আরও পড়ুন, প্রেমিকের বিয়ে অন্যত্র, আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী


খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা রাখীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী রোহিত তরফদারকে আটক করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃতকে।