নিজস্ব প্রতিবেদন : অজানা পোকার কামড়ে মৃত্যু হল গৃহবধূর। পোকার কামড়ের ফলে সেই অংশটি গাঢ় সবুজ হয়ে যায়। যে হাত দিয়ে পোকা ছাড়ানোর চেষ্টা হয়, সেই হাতের আঙুলও সবুজ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারান ওই গৃহবধূ। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা ওই গৃহবধূর নাম সুদীপা নন্দী। বয়স ৩১ বছর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ নভেম্বর বাড়ির বাথরুমেই একটি অজানা পোকা কামড়ায় সুদীপাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সারা শরীরে শুরু হয় অসম্ভব যন্ত্রণা। কামড়ের অংশ গাঢ় সবুজ বর্ণ ধারণ করে। এমনকি যে হাত দিয়ে সুদীপা ওই পোকাটি ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই হাতের আঙুলগুলোও সবুজ হয়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে যান সুদীপা। স্বামী সুজয় জানিয়েছেন, সেদিনই তাঁকে ভর্তি করানো হয় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।



এরপর ১৫ তারিখ সুদীপাকে কলকাতার শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন সুদীপাকে এসএসকেএণম-এ নিয়ে যাওয়ার। এসএসকেএম-এর চিকিৎসকেরা সুদীপার শারীরিক পরিস্থিতি দেখেই তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করে নেন। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পোকার চরিত্র জানার খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু কোথাওই এমন ঘটনার উদাহরণ কেউই দিতে পারেননি।


আরও পড়ুন, 'বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই', অসুস্থতা থেকে উঠেই বসিরহাট ছুটে গেলেন সাংসদ নুসরত


১৫ তারিখ থেকে এসএসকেএম-এই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গতকাল দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হয় সুদীপার। সুদীপার ঘটনায় কার্যত দিশেহারা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। কী কারণে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হল? কীসের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে? তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কী ধরণের বিষের উপস্থিতি রয়েছে শরীরে, তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বৈদ্যবাটি এলাকায়।