নিজস্ব প্রতিবেদন : পণের ১৩ লাখ টাকা দিতে না পারায় কেরোসিন তেল ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, জোর করে ডিভোর্স পেপারে সই করিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, ধূপগুড়ির ভোটপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ২ বছর আগে ২০১৬ সালে মোহরের বিনিময়ে তাঁর মেয়ে পারভিনের বিয়ে ঠিক করেন কামাত এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। ২০১৭-তে বিয়ের দিন স্থির হয়। কিন্তু এরপরই পাত্রের বাবার মৃত্যুর কারণে পিছিয়ে যায় বিয়ে। স্থির হয় ২০১৮-র ২৪ এপ্রিল বিয়ে হবে।


কিন্তু অভিযোগ, নির্দিষ্ট দিনের আগেই থেকে বিভিন্ন বিষয়ে টালবাহানা শুরু করে পাত্রের পরিবার। বিয়ের জন্য এবার আবার ১৩ লাখ টাকা পণ দাবি করে তারা। পণ ছাড়া বিয়ে সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় ছেলের বাড়ি।


নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোনওভাবেই আর পণের ১৩ লাখ টাকা জোগাড় করে উঠতে পারেননি তাঁরা। টাকা জোগাড় না হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে মেয়েকে নিয়ে যেতে আসেননি ছেলের বাড়ির লোক। এরপরই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন নজরুল।


অভিযোগ, তারপর থেকেই শুরু হয় আরও নির্যাতন। টাকার জন্য রোজ পারভিনের উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অকথ্য অত্যাচার শুরু করে। টাকা দিতে না পারায় এরপর শুরু হয় ডিভোর্স পেপারে সই করার জন্য চাপ। এরপরই মঙ্গলবার রাতে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পারভিনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে শ্বশুরবাড়ির লোক।


আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গ' বদলে 'বাংলা'-তেই সর্বসম্মতিক্রমে সায় বিধানসভায়


চিত্কারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই পারভিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি মহিলা থানার ওসি উপাসনা গুরুং।