নিজস্ব প্রতিবেদন: তখন তিনি সবেমাত্র  ১৯। সেই সময় থেকেই কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে তাঁর উঠবস। গুরু ছিলেন প্রদ্যুত্ গুহ। তখন তৃণমূল কোথায়? কোথায়ই বা বিজেপি। শাসক বিরোধী বলতে তখন পশ্চিমবংলায় অস্তিত্ব ছিল কেবল কংগ্রেসেরই। সেই কংগ্রেসি রাজনীতির পাঠশালায় পড়েই এখন তৃণমূল-ই রাজনীতির মাস্টারমশাই হয়ে উঠেছেন অনুব্রত মণ্ডল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে সংগঠন করতে হবে? কীভাবে প্রতিপক্ষের জালে একের পর এক বল জড়িয়ে গোল আদায় করে নিতে হবে, সেই পরীক্ষায় বলে বলে ফার্স্ট হন অনুব্রত মণ্ডল। বিশেষ করে ভোট আদায়ে অনুব্রত বাবু একেবারে সিদ্ধহস্ত। আর সে কারণেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি।


আরও পড়ুন- বাবা, তুমি এমন কথা কেন বললে? অনুব্রতের বিতর্কিত মন্তব্যে 'শাসন' মেয়ের


যদিও অনুব্রত মণ্ডলের দাবি তাঁর আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক আজকের নয়, বহু দিনের। Zee ২৪ ঘণ্টার ফেস অফ অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তখনও সাংসদ হননি, ছাত্র পরিষদ করতেন, তখন থেকেই আমার সঙ্গে আলাপ। সে সময় কলকাতায় ট্রাকে করে মিটিং মিছিল হত, তখন থেকেই আমার সঙ্গে দিদির আলাপ। দিদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমার বাড়ি কোথায়? আমি বলেছিলাম বীরভূম। তখন দিদিও বলল, তাঁর বাড়িও বীরভূম। আমি বললাম আমি জানি। আপনার মামার নাম এই, আপনার মামাবাড়ি এখানে,  তারপর থেকেই সম্পর্ক”।


তাঁর সঙ্গে দলনেত্রীর সম্পর্ক নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল এও বলেন,  “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন ৬ ফুট বাই ৮ ফুটের একটা পার্টি অফিস ছিল, বর্ষা হলেই জল পড়ত, ত্রিপল ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আমাকে তখন থেকেই ভালবাসেন। এখনও ভালবাসেন”।


আরও পড়ুন- এক্সক্লুসিভ: এলজিপি আঁচ থেকে বাঁচতে তৃণমূল-দিলীপ সখ্যতা?


এখানেই শেষ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারি বলেও দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। Zee ২৪ ঘণ্টার এডিটর অনির্বাণ চৌধুরির সঙ্গে খোলামেলা আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাধারন ঘরের মেয়ে নন। তাঁর মধ্যে এমন এক ক্ষমতা আছে, তিনি যা চান তাই পান।”