নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১১ সালের আগে বাংলার সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগই যেত সিপিএমের ঘরে। পরিবর্তনের পর সেই ভোট এখন শাসক দলের ইভিএমে পড়ে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। তবে এবার বাংলায় বিধানসভা ভোটে লড়ার ঘোষণা করেছে এআইএমআইএম। তারপরই হিসেব-নিকেশে শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধীরা। সূত্রের খবর, সিপিএম ও কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এনিয়ে বৈঠক করে ফেলেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাংলাভাষী মুসলিমদের টার্গেট করেছে এআইএমআইএম। তাদের পরিকল্পনা, বাংলাভাষী মুসলিম প্রার্থী হলে তার ইতিবাচক প্রতিফলন দেখা যাবে ইভিএমে।  সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসাউদ্দিনের দলের সংগঠন বাড়ছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দলের মুখপাত্র অসীম ওয়াকার জানিয়েছেন,''বিহারের পর আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেব। ৩ বছর ধরে ওই রাজ্যে সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করছি। ভোটে লড়ার জন্য সংগঠন তৈরি। বাংলায় আমাদের নেতাদের নাম ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।''


বিহারে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জিতেছেন ৫টি। ভোটের হার ১.২৪ শতাংশ। বাংলায় বহু আসনে নির্ণায়ক সংখ্যালঘু ভোট। সেক্ষেত্রে এআইএমআইএম শেষপর্যন্ত বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে সংখ্যালঘু ভোট। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিপিএমের দখলেও কিছু সংখ্যালঘু ভোট এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এআইএমআইএম প্রার্থী দিলে সবটাই তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। এআইএমআইএম-কে কীভাবে সামলানো হবে, এনিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস। আলিমুদ্দিনেও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, কংগ্রেস ও সিপিএম মনে করছে, মেরুকরণের ফায়দা তুলে নিতে পারে এআইএমআইএম ও বিজেপি। সুজন চক্রবর্তী মুখে অবশ্য বলছেন,''ভোট দেওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। রাজ্যের মানুষ তৃণমূল-বিজেপি কাউকেই চায় না। বামগণতান্ত্রিক জোটই মানুষের ভরসা।'' 


সিপিএম-কংগ্রেসই নয়, রাজ্যের শাসক দলের অস্বস্তিও বাড়াতে পারে এআইএমআইএম। ফলে সবপক্ষকেই নিজেদের মতো করে কৌশল সাজাতে হবে। এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।