Yaas মোকাবিলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে হাওড়া জেলায়, বিশেষ সতর্কতা গ্রামীণ এলাকায়
ত্রাণ এবং খাদ্য উপকরণ যথা স্থানে পৌঁছে দেওয়ার আগাম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাইক্লোন যশকে মোকাবিলা করার জন্য শেষলগ্নের প্রস্তুতি তুঙ্গে হাওড়া জেলা জুড়ে। চালু করা হল বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
একেই করোনায় নাজেহাল অবস্থা। তার উপর বাংলায় হুঙ্কার দিতে দিতে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় yaas। এটি বুধবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন ওড়িশার দিকে এসে দুপুর নাগাদ স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
yaas clycone মোকাবিলায় হাওড়ায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জেলা জুড়ে যুদ্ধকালীন তত্পরতা রয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ টিম, হাওড়া সিটি পুলিস-সহ বিভিন্ন দফতরের সমন্বয় করে বিশেষ জরুরি আলোচনায় বসেছেন জেলাশাসক মুক্তা আর্যা। পাশাপাশি সিইএসসি সূত্রে জানা গেছে যশ চলাকালীন তাদের পরিষেবা চালু থাকবে। আগাম পরিষেবা বন্ধ করা হবে না। যদি কোথাও দুর্যোগের দরুন বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যায়,সেই খবর পাওয়া মাত্র ওই ছিঁড়ে যাওয়া অংশে বৈদ্যুতিক সাপ্লাই বন্ধ করে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন : বালাসোর ও দিঘায় আছড়ে পড়বে Yaas, তাণ্ডবের কবলে পড়বে পূর্বমেদিনীপুর
গ্রামীণ হাওড়া এলাকায় বিশেষ করে শ্যামপুর, বাগনান ও আমতা ব্লকের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। এলাকার প্রতিটি ব্লকেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী শিবির। জেলায় মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা পেয়েই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন।
যশ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় হাওড়া পুরনিগম ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১) ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৬৩৭-১৭৩৫
২) সমস্ত বোরো অফিস ও বালি সাব-অফিসগুলিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হচ্ছে।
৩) সমস্ত বোরো অফিস এবং বালি সাব-অফিসগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা পরিচালনার দল তৈরি করা হয়েছে।
৪) সমস্ত বিপজ্জনক গাছ, ভবন এবং হোর্ডিংয়ে নজর রাখবে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
৫) ফেসবুক এবং টুইটারের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হবে।
৬) বিপজ্জনক বাড়ি ও গাছের উপর নজর রাখা হবে। যদি ঝড়ে গাছ পড়ে যায় তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যেমন, গ্যাস কাটার মজুত রাখা হয়েছে।
৭) জল পাম্প করার জন্য বিশেষ পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৮) প্রয়োজনে মানুষজনকে সরানোর জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলি ঠিক করা হয়েছে।
৯) ত্রাণ এবং খাদ্য উপকরণ জায়গায় জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১০) সংবেদনশীল এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Yaas-এর আতঙ্কে ট্রেনও বেঁধে ফেলা হল শিকলে!