হাওড়া গ্যাসকাণ্ড : পলাতক মালিক, পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
জীব বৈচিত্রের তোয়াক্কা না করেই বিষাক্ত গ্যাসের সিলিন্ডার ফেলে দেওয়া হয় গঙ্গায়। নমমী গঙ্গা প্রকল্পে যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে বিষাক্ত সিলিন্ডার ফেলা হল গঙ্গায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়া গ্যাস কাণ্ডে সামনে এল নতুন তথ্য। মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডার কালোবাজার থেকে কিনে তার থেকেই স্ক্র্যাপ লোহা বের করছিল সন্দীপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এবং তা হচ্ছিল নিয়ম না মেনে। সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক উপায়ে। বলছেন কারখানারই কর্মীরা। গ্যাস লিকের পরেই বেপাত্তা হয়ে গেছেন সন্দীপ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক সন্দীপ আগরওয়াল। উধাও সন্দীপের বাবা লক্ষ্মী আগরওয়ালও।
আরও পড়ুন- হাওড়ার ঘুসুড়িতে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ শতাধিক
গ্যাস লিকের ঘটনায় দুর্ঘটনার থেকেও বেশি চোখে পড়ছে আপত্কালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থার অভাব। প্রথমত ছেনি হাতুড়ি দিয়ে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সিলিন্ডার কাটা হয়। দ্বিতীয়ত, লিক করা সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া হয় ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে। তাতে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিস ও দমকলের এই পদক্ষেপ নির্বুদ্ধিতার নামান্তর। তৃতীয়ত, জীব বৈচিত্রের তোয়াক্কা না করেই বিষাক্ত গ্যাসের সিলিন্ডার ফেলে দেওয়া হয় গঙ্গায়। নমমী গঙ্গা প্রকল্পে যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে বিষাক্ত সিলিন্ডার ফেলা হল গঙ্গায়। প্রশ্ন উঠছে, পুলিস ও দমকল কর্মীদের কি ন্যূন্যতম সচেতনতা নেই?