HS Result 2023: উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় চন্দ্রবিন্দুর কপালে চিন্তার ভাঁজ, কীভাবে আসবে পড়ার খরচ?
তমলুক হেমিল্টন হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রবিন্দু মাইতি। পূর্ব মেদনিপুরের দরিদ্র পরিবারের অন্যতম কৃতি এই পড়ুয়া পেয়েছে ৫০০-এর মধ্যে ৪৯৪ নম্বর। জানা গিয়েছে তমলুকে নিজের বাড়ির দালানেই ছোট্ট চায়ের দোকান চন্দ্রবিন্দুর বাবা তপন মাইতির। এই চায়ের দোকান থেকেই আসে চন্দ্রবিন্দু এবং তাঁর ছোট ভাইয়ের পড়া সহ বাড়ির যাবতীয় খরচ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল অফ হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বুধবার, ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল ঘোষণা করেছে।
প্রতিবছর সকাল ১১টায় মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও এবার সময় পিছিয়ে বেলা ১২টা করা হয়েছে। দিনের দিন রেজাল্ট হাতে পাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়মে বদল এনেছে সংসদ। ৩১ মে সংসদের ক্যাম্প অফিস থেকে স্কুলের প্রতিনিধিদের মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৪ মার্চ এবং শেষ হয়ছিল ২৭ মার্চ। খুব কম সময়েই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে এবছর। বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ৮.৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Subhadip Pal | Madan Mitra: বাড়ি ফিরল শুভদীপের নিথর দেহ, শোকস্তব্ধ পরিবার
৪৯৬ নম্বর পেয়ে এই বছর প্রথম হয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সর্দার। দ্বিতীয় হয়েছেনে সুষমা খান এবং আবু সামা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৪ জন পড়ুয়া। ৪৯৪ নম্বর নিয়ে এই স্থানে রয়েছে চন্দ্রবিন্দু মাইতি, অনুসুয়া সাহা, পিয়ালী দাস এবং শ্রেয়া মল্লিক।
তমলুক হেমিল্টন হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রবিন্দু মাইতি। পূর্ব মেদনিপুরের দরিদ্র পরিবারের অন্যতম কৃতি এই পড়ুয়া পেয়েছে ৫০০-এর মধ্যে ৪৯৪ নম্বর। জানা গিয়েছে তমলুকে নিজের বাড়ির দালানেই ছোট্ট চায়ের দোকান চন্দ্রবিন্দুর বাবা তপন মাইতির। এই চায়ের দোকান থেকেই আসে চন্দ্রবিন্দু এবং তাঁর ছোট ভাইয়ের পড়া সহ বাড়ির যাবতীয় খরচ।
বাবা এবং মায়ের সঙ্গে মাঝে মাঝেই চায়ের দকানে বসে চন্দ্রবিন্দু নিজেও। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে অবশেষে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সে। আগামিদিনে আইআইটি-তে গবেষণার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু সেই পথে বড় বাধা পরিবারের আর্থিক অবস্থা।
জানা গিয়েছে পড়াশুনার খরচ জোগাতে ইতিমধ্যেই বহু টাকা খরচ হয়েছে তাঁদের এবং একইসঙ্গে বেশ কিছু গয়নাও বিক্রি করতে হয়েছে পরিবারকে।
টাকা জোগাড় করতে না পারলে আগামীদিনে কীভাবে চলবে চন্দ্রবিন্দুর পড়াশুনা সেই আশঙ্কা তারা করে বেরাচ্ছে গোটা পরিবারকে।এই খুশির দিনেও তাই চিন্তার ছায়া পরিবারে।