নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিন পর জলপাইগুড়ির করলা নদীতে ধরা পড়ল বিশাল সোনালি বোয়াল। বৃহস্পতিবার রাতে হাত ছিপে মাছটি ধরেন বিষ্ণু রায় নামে এক স্থানীয়। অন্তত ৬ কিলোগ্রাম ওজনের এই মাছ ওঠায় যতটা খুশি বিষ্ণুবাবু নিজে তার থেকেও বেশি খুশি পরিবেশ বিজ্ঞানী ও পরিবেশপ্রেমীরা। ২০১১ সালে করলায় বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল হাজার হাজার মাছের। বিশাল বোয়াল ধরা পড়ায় পরিবেশবিদরা মনে করছেন, বিষক্রিয়ার সেই অভিশাপ পেরিয়ে ৮ বছর পর করল নদীতে ফিরেছে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির ঝোলনা ব্রিজের কাছে করলা নদীতে টাগি ফেলেছিলেন বিষ্ণুবাবু। স্থানীয় ভাষায় হাত ছিপকে বলে টাগি। সুতোয় টান দিতেই বোঝেন বেঁধেছে বড় কিছু। বেশ কিছুক্ষণ লড়াই করে অবশেষে জল থেকে তোলেন পেল্লায় সোনালি বোয়াল। কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দামে এই মাছ বিক্রি হবে বলে আশাবাদী বিষ্ণুবাবু। 


পিঙ্ক টেস্টে ক্রিকেট-বিনোদনের ককটেল ক্রিকেটের নন্দন কাননে


ছিপে এত বড় মাছ ধরে বেজায় খুশি বিষ্ণুবাবু। তবে তার থেকেও খুশি তরাই ও ডুয়ার্সের পরিবেশপ্রেমীরা। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর করলা নদীতে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল প্রচুর মাছের। বিষক্রিয়ায় ভেসে উঠেছিল এই সোনালি বোয়ালও। জানা যায়, ধান ক্ষেতে দেওয়া কীটনাশক নদীতে এসে পরায় এই বিষক্রিয়া। শান্ত করলার গা ঘেঁষে একাধিক চরে ধান চাষ করেন স্থানীয়রা। সেখানেই দেওয়া হয়েছিল কীটনাশক। তার পর থেকে করলায় ফের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য ফিরবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন বিশাল বোয়াল ধরা পড়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত তাঁরা। বলছেন, ফের সংসার সাজিয়ে বসেছে প্রকৃতি।