Drama on Bangladesh: চেতনা-মানবতা হারিয়েছে ওপার বাংলা! সম্বিত ফেরাতে বাংলাদেশ নিয়ে নাটক...
Bardhaman: বাংলাদেশ আজ রক্তাক্ত। মানবতা সেখানে পথ হাতড়াচ্ছে। বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর মানবতায় বিশ্বাস ফেরাতে অনির্বাণের নাট্যপ্রেমীদের ফেরারি ফৌজ মঞ্চে নামছে।
পার্থ চৌধুরী: বাংলাদেশ নিয়ে নাটক করছেন অভিনেতা অনির্বাণ। নাটকের নাম বেঁচে থাকার গান। পরিচালকের মতে, মাত্র ছটি চরিত্র নিয়ে টানটান এই নাটক জীবনবোধ এবং মানবতার উপর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে। মহলা শুরু হয়ে গেছে। ডিসেম্বরেই মঞ্চে আসছে এই নাটক।
বাংলাদেশ নামেই বাঙালির বুকের বাঁদিকে চিনচিন করে। ওপারে যে বাংলাদেশ এপারেও সেই বাংলা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সেই বাংলাদেশ। ভায়ের রক্তে রাঙানো সেই একুশে ফেব্রুয়ারি। সেই বাংলাদেশ আজ রক্তাক্ত। মানবতা সেখানে পথ হাতড়াচ্ছে। বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর মানবতায় বিশ্বাস ফেরাতে অনির্বাণের নাট্যপ্রেমীদের ফেরারি ফৌজ মঞ্চে নামছে।
এতক্ষণ যা ভাবছেন এই অনির্বাণ সেই অনির্বাণ নন। এই অনির্বাণ, বিশ্বাস যার পদবীতে। মফস্বলের ছেলে এখন পরিচিত সেই গন্ডি ছাড়িয়ে। বাংলা সব কটি পরিচিত চ্যানেলেই সিরিয়াল বা টেলিফিল্মে নিয়মিত তাঁকে দেখা যায়। একটি চ্যানেলে রম্য প্রোগ্রামে অমিত মিত্র সাজতেন। মীরাক্কেলেও মাতিয়ে এসেছেন। অনেকগুলি নাটকে জিতেছেন অভিনেতার পুরস্কার। বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের মঞ্চে সঞ্চালক হিসেবে বিখ্যাত অনির্বাণ। তাঁর পরিচালনায় আলফা থিয়েটার এই নাটক নিয়ে আসছে।
নাটকের নাম: বেঁচে থাকার গান।সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই নাটক পড়েই অনির্বাণের মনে হয় এই নাটক করা খুব জরুরি।
আরও পড়ুন:Bangladesh: ফল-খাবার দামি, তার চেয়ে ওষুধ লিইখ্যা দ্যান! বদলের বাংলাদেশে কাঁদছে মানুষ...
এপারে জন্ম হলেও ওপারে শিকড় রয়েছে অনির্বাণের। বাবা-সহ পরিবার ওপার বাংলা থেকেই এসেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পর্কিত এক দিদি তাদের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে নতুন ধুতি পরে বাবা তাঁকে দিয়ে আসেন নতুন দেশে। নিয়ে আসেন সিলেটের একটু মাটি। মাটি ভাগ হলেও ভালোবাসা মরে না। আজকের বাংলাদেশ যে কোনও চেতনাসম্পন্ন মানুষকে বিষণ্ণ করে। শিল্পীদের আরও বেশি করে। শিল্পীর সেই দায় থেকেই তাই নাটকেই মানবতার কথা বলতে চান অনির্বাণ।
নাটকের প্রেক্ষাপট: পূর্ববঙ্গের ছিন্নমূল মাধুরী নস্কর নাতনী তিতিরকে নিয়ে থাকেন এই বাংলায়। একটি পথদুর্ঘটনায় তিতির হারিয়েছে তাঁর বাবা-মাকে। দুজনের সংসারে হঠাৎই একদিন খুলনা থেকে এসে হাজির হন আব্দুল খালেক। মাধবীর বাবা কানাই নস্কর নিখোঁজ হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। কিন্তু মৃত্যু-রহস্য জানা যায় না। নানা ঘাত- প্রতিঘাতের পর খালেক জানায় সে ই কানাই মাস্টারের প্রকৃত খুনি। ঘটনা জেনে যায় চতুর্দশী তিতির ও। তারপর ? জানতে হলে দেখতে হবে নাটক বেঁচে থাকার গান। নাট্যরচনা: সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। আলো: প্রিয়তোষ রায়, মঞ্চ:পার্থপ্রতিম পাল, অভিনয় ও নির্দেশনায় অনির্বাণ বিশ্বাস। প্রযোজনা: থিয়েটার আলফা।
আরও পড়ুন:Pushpa 2: ধারে কাছে নেই কেউ! ৪ দিনের আয়ে 'পুষ্পা ২' কাঁপাচ্ছে গোটা দেশ...জানেন কত?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)