Malda Murder: চলন্ত বাইকের পেছনে বসা স্ত্রীকে গুলি করে খুন দুষ্কৃতীদের, স্বামীকে জেরা করতেই পর্দাফাঁস রহস্যের
Malda Murder: শেখকে আটক করে জেরা শুরু করে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। এরপর বেরিয়ে আসে আইনুল বিবিকে খুন করার ষড়যন্ত্র। অতিরিক্ত পুলিস সুপার আরও জানান মাসু শেখ ছাড়াও হজরত শেখ(বাইক ড্রাইভ করছিল) ও উজির শেখ(যে গুলি করে) তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়
রণজয় সিংহ: স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। এমনই সন্দেহে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছিল স্বামী। তবে শেষ রক্ষা হল না। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার স্বামী মাসু শেখ ও তার ২ সহযোগী। গত ২৫ এপ্রিল মালদহে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে শুটআউটৈর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে ফেলল পুলিস।
আরও পড়ুন-ময়নাগুড়িতে মধ্যাহ্নভোজ অভিষেকের; গ্রামবাসীদের সঙ্গে মাটিতে বসে খেলেন তিস্তার বোরোলি মাছ
ঘটনার দিন মোটরবাইকে চেপে মালদা থানার রায়পুর থেকে নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতে রাহামাট নগর গ্রামে যাচ্ছিল মাসু শেখ। সেই সময় মোটরবাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা এসে গুলি চালায়। গুলি লাগে মাসুর স্ত্রী আইনুল বিবির দেহে। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা আহত গুলিবিদ্ধ আইনুল বিবিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা আইনুল বিবিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এমন ঘটনার পর রীতিমত রহস্যদানা বাঁধে। তদন্ত শুরু করে মালদা থানার আধিকারিকেরা। কিন্তু চলন্ত বাইক লক্ষ্য করে গুলি চালানোর বিষয়টি তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকদের চিন্তার মধ্যে ফেলে দেয়। অতিরিক্ত পুলিস সুপার সাউ কুমার অমিত জানান ৩৪নং জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত এক ধাবার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। সেই ফুটেজে দেখা যায় মাসু শেখ ৩৪নং জাতীয় সড়কে খুব ধীরগতিতে বাইক ড্রাইভ করছিলেন। মাসু শেখের বাইকের পাশাপাশি আরও একটি বাইক একইভাবে ধীর গতি চলছিল। তখনই সন্দেহ হয়। এরপর মাসু শেখের সারাদিনের গতি প্রকৃতি খোঁজ শুরু হয়। তাতেও দেখা যায় মাসু শেখের বাইকে ফলো করার তথ্য।
গতকাল রাতে মাসু শেখকে আটক করে জেরা শুরু করে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। এরপর বেরিয়ে আসে আইনুল বিবিকে খুন করার ষড়যন্ত্র। অতিরিক্ত পুলিস সুপার আরও জানান মাসু শেখ ছাড়াও হজরত শেখ(বাইক ড্রাইভ করছিল) ও উজির শেখ(যে গুলি করে) তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেবল স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহেই এই খুনের ষড়যন্ত্র।
জানা গিয়েছে মাসু শেখ ও উজির শেখ টাওয়ারের কাজ করে। আর হজরত শেখ রঙের কাজ করে। মাসুকে জেরা করে পুলিসকর্তারা জানতে পারেন মাসু যে টাকা রোজগার করত সেই টাকা তাঁর স্ত্রীর কাছ রাখত। সম্প্রতি একলক্ষ আশি হাজার টাকা মাসু শেখের স্ত্রীর কাছে দিয়েছিল। কিন্তু আইনুল বিবি ৬০হাজার টাকা খরচ করেছিল। যে হিসাব মাসু শেখকে দিতে পারেনি সে। শুধু তাই নয় ব্যাঙ্কে সঞ্চিত অর্থ ছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। সেখান থেকেও ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছিল আইনুল বিবি। যে কারণে মাসু শেখে সন্দেহ হয়েছিল স্ত্রী তাঁর রোজগারের টাকা প্রেমিককে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় মাসু শেখের সন্দেহ হয়েছিল তাঁর স্ত্রী প্রেমিকের সাথে যোগসাজশ করে খুন করতে পারে। তাই মাসু শেখ স্ত্রীকেই খুনের পরিকল্পনা করে। মালদা থানার পুলিশ আজ মাসু শেখকে আদালতে তোলে। আদালত মাসু শেখকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। বাকী দুই অভিযুক্তকে আগামিকাল আদালতে তোলা হবে।