অরূপ বসাক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় দাঁত ফোটতে পারেনি বিরোধীরা। ভোটের ফলাফলেই তা স্পষ্ট।  এর মধ্যেই জলপাইগুড়িতে তিন দলের টিকিটে ভোটে লড়াই করেছিলেন সাংসদ মিমির ৩ মামি। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন ছোট মামি। প্রায় এরকমই নাগরাকাটা ব্লকের সুকলাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে ছিলেন সাংসদ মিমির ৩ মামী, শেষ হাসি হাসলেন কে?


সুকলাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খয়েরবাড়ি ১৭৯ বুথ থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী লতিফুল ইসলাম। অন্যদিকে, লতিফুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা নুর পাটোয়ারী জয়ী হয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ২৩ নম্বর আসন থেকে। চম্পাগুড়ি ও সুলকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত ওই আসনে ফিরোজা নুর জয়ী হয়েছেন ৬৫০০ ভোটে। ফিরোজা হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সীমা কেরকেট্টাকে। স্বামী-স্ত্রীর জয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার মানুষজন।


কংগ্রেসের হয়ে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন লতিফুল ও  ফিরোজা। সেবার  ফিরোজ নুর পাটোয়ারী খয়েরবাড়ি থেকে থেকে জয়ী হন এবং সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। পরে ২০১৮  সালের  নির্বাচনে সুলকাপাড়া  থেকে জয়ী হয়ে নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসাবে তিনি তৃণমূল এর টিকিটে জিতলেন। তৃণমূল সমর্থকরা তাঁদের দুজনকেই বাড়িতে গিয়ে সকাল থেকে অভিনন্দন জানিয়ে আসেন। তাঁর স্বামী লতিফুল ইসলাম সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন।  এবারও তিনি খয়েরবাড়িতে ১৭৯ বুথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন।


দুজনের বক্তব্য,  এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন করেছেন, তা দেখেই গ্রামের এবং চা বাগানের মানুষ, আমাদে দুহাত ভরে ভোট দিয়েছে। এরজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই আমরা।  আগামিতেও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই আমরা।


অন্যদিকে, এবারের ভোটে লড়াইয়ে নেমেছিলেন একই পরিবারের ৩ গৃহবধূ। তিন জা এর লড়াইয়ের পাশাপাশি এই লড়াই খবরে ছিল ৩ প্রার্থীর পরিচিতির জন্য। কারণ ওই ৩ প্রার্থী হলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মামী। তিন মামীই এবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিন দলের টিকিটে। বড় মামী কান্তা চক্রবর্তী খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। মেজো মামী পর্ণা চক্রবর্তী এবার ছিলেন সিপিএমের প্রার্থী। অন্যদিকে, ছোট মামী পুনম চক্রবর্তী লড়াইয়ে নেমেছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। আজ গণনার শেষে অবশ্যা শেষ হাসিটা হাসলেন ছোট মামী পুনমই। তাকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মিমি।  একই পরিবারেই তিন শিবিরের প্রার্থী। রাজ্যে এরকম উদাহরণ খুব বেশি নেই। কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হল প্রচারের শুরু থেকেই তিন জা সতর্ক ছিলেন প্রচার যেন তাদের পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব না ফেলে। পুনম চক্রবর্তী আগেই জানিয়েছিলেন, কোনও দিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। প্রথমে আমাদের পরিবার। তারপর রাজনীতি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)