পিয়ালি মিত্র: ৩ বছর আগে স্ত্রীকে খুন করে স্বামী। স্ত্রীকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ফেলে দেয় সেপটিক ট্যাঙ্কে। খুনের ৩ বছর পর সামনে এল অপরাধ। খুনের ৩ বছর পর সিআইডির জেরায় খুনের কথা কবুল স্বামীর। অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এবার দেহ উদ্ধার করছে সিআইডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২০ সালে হঠাৎ নিঁখোজ হন টুম্পা মন্ডল। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ভোম্বল মন্ডলকে তখন গ্রেপ্তার করে সোনারপুর থানার পুলিস। কিন্তু সেই সময় টুম্পার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । পরে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ফের ওই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিআইডি। 


এরপরই গতকাল দীর্ঘ জেরার পর নিজের অপরাধ কবুল করে অভিযুক্ত স্বামী ভোম্বল মন্ডল। ২০২০ সালে সোনারপুরের মিলনপল্লীতে ভাড়ার বাড়িতে থাকার সময় স্ত্রীকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে সে দেহ লোপাট করে বলে স্বীকার করে। এরপরই এদিন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি দেহ খোঁজার কাজ শুরু হয়।


অন্যদিকে আরেকটি ঘটনা, বিষ্ণুপুরে জোড়া খুন। আর প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে এক্ষেত্রে উঠেছে খুনের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে হঠাৎ নিখোঁজ ছিলেন পূর্ণিমা নস্কর (৫৪)। শুক্রবার সকালে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয় পুকুর থেকে এবং সন্ধ্যায় ওই পুকুর থেকে কলেজ ছাত্রী চুমকি নস্করের (১৯) মৃতদেহও উদ্ধার হয়। দুজনকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার হাটখোলা নুর্সিরদার চক গ্রামে।


অভিযোগ, প্রতিবেশী পাড়ার সৌরভ মন্ডলের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল চুমকির। কিন্তু বিয়ের কথা বলতেই বিয়েতে নারাজ সৌরভ। তারপরেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি অন্য এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করছিলেন চুমকি। এ কথা জানার পরেই বৃহস্পতিবার রাতে চুমকিকে ফোন করে বাড়ির সামনে আসতে বলেন সৌরভ। বাড়ির বাইরে আসতেই তাকে মাথায় আঘাত করে খুন করে সে। সেই ঘটনা ওই সময় দেখে ফেলন চমুকির জেঠিমা পূর্ণিমাদেবী। সেখানে জেঠিমাকেও খুন করে রাস্তার পাশের পুকুরে দুটি মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায় সৌরভ।