নিজস্ব প্রতিবেদন: পরকীয়া সম্পর্কের জের। প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হল গঙ্গার ঘাটে। এখন গোলাবাড়ি থানার পুলিশের জালে তিন অভিযুক্ত। খুনের মামলা রুজু হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। সোমবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক'দিন আগেই হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকায় গঙ্গার ঘাটে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। এলাকায় রহস্য ছড়ায়। ঘটনার তদন্তে নেমে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যের কিনারা করল পুলিস। 


প্রথমে মনে করা হয়েছিল, বস্তাবন্দি দেহ জোয়ারের টানে ভেসে এসে গোলাবাড়ির চালপট্টি ঘাটে আটকে গিয়েছে। সেই মতো অন্য থানাগুলিতে মৃত ব্যক্তির ছবি পাঠিয়ে শনাক্তের কাজ শুরু করে গোলাবাড়ি থানা। পাশাপাশি গোলাবাড়ি থানা এলাকার চালপট্টি ঘাট ও সংলগ্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে পুলিস। হাওড়ারই কোনও জায়গা থেকে এই দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছিল পুলিস। 


আর তখনই ঘটনার কিনারা করার একটা সূত্র পায় পুলিস। ফুটেজে ১ জানুয়ারি রাত ১২টা নাগাদ একটি বাইককে হলুদ রঙের বস্তা নিয়ে গঙ্গার চালপট্টি ঘাটের দিকে যেতে দেখা যায়। এরপর বাইক যেদিক থেকে এসেছিল সেদিকের রাস্তার সমস্ত সিসিটিভি খতিয়ে দেখা যায়, মালিপাচঁঘরা থানার ঘুসুড়ি কুলি লাইনের কাছ থেকে বাইকটি আসে। 


রবিবার সকালে গোলাবাড়ি থানার পুলিস ও মালিপাচঁঘরা থানার পুলিস একত্রে তদন্তে নামে। ওই এলাকায় মৃত ব্যক্তির ছবি দেখাতেই তাঁকে শনাক্ত করা যায়। পুলিস জানতে পারে, কুলি লাইন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন শ্রবণ গুপ্তা (৪৫) নামে ওই ব্যক্তি। এরপর তাঁর বাড়ির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রহস্যের কিনারা হয়। 


হাওড়া সিটি পুলিসের ডিসিপি নর্থ অনুপম সিং রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, শ্রবণের এর স্ত্রী পিঙ্কির সঙ্গে এক বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা অমন সিং নামে এক যুবকের। দু'জনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এটা জানতে পারলে শ্রবণের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। তখনই অমন ও পিঙ্কি খুনের ছক কষে। নিজের বাড়ির মধ্যেই শ্বাসরোধ করে শ্রবণকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জন ছাড়াও পিঙ্কির মেয়েও ছিল। অভিযুক্তেরা ভেবেছিল, বস্তায় ভরে দেহ গঙ্গার ঘাটে রেখে এলে তা জলে ভেসে যাবে। কিন্তু গঙ্গায় ভাটা পড়ে যাওয়ায় তা হয়নি। 


Also Read: মাছ চোর সন্দেহে গণপিটুনি, মৃত্যু যুবকের