নিজস্ব প্রতিবেদন : সিউড়ির সাজানোপল্লিতে মহিলার রহস্যমৃত্যু। মৃতার নাম শিউলি পাল। একমাত্র ছেলেকে একাই নিয়ে থাকতেন মহিলা।  স্বামী লক্ষ্মীকান্ত পাল কোলিয়ারিতে কর্মরত। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরে স্বামী দেখেন, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। দরজা খোলা। খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,নিজের বাড়িতেই বিউটি পার্লার চালাতেন শিউলি পাল। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ শিউলিদেবীর স্বামী লক্ষ্মীকান্ত পাল বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে। আর ঘরের বিছানার উপর পড়ে স্ত্রীর দেহ। গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া। পরিবারের লোকেদের দাবি, পরিচিত কেউই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ, কোনও অপরিচিতকে দেখে ঘরের দরজা খুলতেন না শিউলি পাল।


আরও পড়ুন, গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে! 'সুখের দাম্পত্য' ঘুচল ৩ বছরেই


তবে মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিউটি পার্লারের আড়ালে কি অন্য কিছু চলত? উঠছে প্রশ্ন। নাকি সম্পত্তিগত টানাপোড়েনের জন্য খুন হয়ে গেলেন শিউলি পাল? সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেই তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিস।


পুলিস সূত্রে খবর, ঘর থেকে দুটি প্লেট ও গ্লাস উদ্ধার হয়েছে। যা দেখে পুলিসের অনুমান, ঘরে পরিচিত কেউ-ই এসেছিল। কারণ পরিচিত কেউ ঘরে এলেই তাঁকে জল-মিষ্টি খেতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, বাড়ি থেকে কিছুই খোঁয়া যায়নি। এর থেকে পরিষ্কার যে দুষ্কৃতীরা লুটপাটের জন্য আসেনি।


আরও পড়ুন, চাঁদা নিয়ে বিবাদ, আত্মীয়র ছোড়া গুলিতেই খুন


প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বাড়ির মধ্যেই বিউটি পার্লার চালাতেন শিউলি পাল। সেই পার্লারে অনেক লোকেরই যাতায়াত ছিল। তাই পার্লারের ভিতর কোনও 'অবৈধ' ব্যবসা চলছিল কিনা, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। জানা গিয়েছে, বাড়ির পেছনে পুকুর ও সামনে স্বামী-স্ত্রীর নামে জায়গা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সম্পত্তিজনিত কারণেও খুন হয়ে থাকতে পারেন মহিলা।


অন্যদিকে, মহিলার স্বামীও বাইরে থাকতেন। সেক্ষেত্রে ওই মহিলা বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সেক্ষেত্রে খুনের পিছনে থাকতে পারে ত্রিকোণ সম্পর্ক। এই সমস্ত তথ্য সাজিয়েই খুনের কিনারা করতে চাইছে পুলিস। বেশ কয়েকজন সন্দেভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিহত মহিলা শিউলি পালের স্বামী লক্ষ্মীকান্ত পালকেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখেনি পুলিস।