নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বামী। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন গৃহবধূ। আর তারপরই স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনি এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে কোচবিহার ঘোকশারডাঙা এলাকার বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ মমিরুদ্দিনের। মহম্মদ মমিরুদ্দিন পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতে শুরু করেন মহম্মদ মমিরুদ্দিন। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে চাপ দিতে থাকেন মমিরুদ্দিন। এদিকে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান গৃহবধূ। স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। অভিযোগ, তারপরই দ্বিগুণ হয়ে যায় তরুণী স্ত্রীর উপর অত্যাচারের মাত্রা।


আরও পড়ুন, ভাড়াটিয়ার পরকীয়াতে আপত্তি জানিয়েছিল স্বামী, বিয়ের ২ মাসের মাথায় চুরমার সংসারের স্বপ্ন


অভিযোগ, ২৭ অগাস্ট স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেন স্বামী মমিরুদ্দিন, শাশুডি মমিনা বেওরা এবং এক প্রতিবেশী মহিলা ও ব্যক্তি। অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম হন গৃহবধূ। প্রায় দুসপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তিনি। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাপের বাড়ি ঘোশকডাঙায় চলে যান ওই গৃহবধূ।


অ্যাসিড হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় স্বামী, শাশুড়ি সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় স্বামী মমিরুদ্দিন ও শাশুড়ি মমিনাকে। বাকি ২ অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই, কলেজের সহপাঠীর সঙ্গে 'পরকীয়া', পরিণতি হল মর্মান্তিক


এদিকে এদিন যখন ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়, তখন অ্যাসিড হামলার কথা স্বীকার করে নিলেও স্বামী মমিরুদ্দিন পাল্টা দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত। পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। বহুবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তাঁর কথা শোনেননি তাঁর স্ত্রী। সেদিন তিনি তাঁর স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তাঁর কথা না শোনার জন্য তখনই রাগের মাথায় তিনি অ্যাসিড ছুড়ে মারেন।