নিজস্ব প্রতিবেদন- গেরুয়া রঙের নেহেরু জ্যাকেট পরে তিনি বাড়ি থেকে বেরোলেন। মুখে-চোখে সন্তুষ্টির হাসি। সবুজের বদলে এখন তাঁর সখ্যতা গেরুয়ার সঙ্গে। তাই জ্যাকেটের রঙ বদল! রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এই যুক্তি মেনে নিলেন না। নিজে যুক্তি সাজিয়ে বললেন, ''আমি স্বামীজির আদর্শ নিয়ে বাঁচি। আগেও এই রঙের নেহেরু জ্যাকেট পরেছি। আপনারা হয়তো খেয়াল করেননি। ভবিষ্যতেও পরব। তবে আজ একটা বিশেষ দিন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম জনসভা। তাই আজ এই রঙের জ্যাকেট পরেছি।'' মঞ্চে ওঠার পরই তাঁর গলায় উঠল গেরুয়া উত্তরীয়। সেটা নিয়ে অবশ্য তিনি আর কিছু বলার অবকাশ পেলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি গিয়েছিলেন। তার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে BJP-তে যোগদান। তার পর বাংলার মাটিতে গেরুয়া শিবিরের হয়ে তাঁর প্রথম জনসভা। তাও আবার নিজের গড় হাওড়ার ডুমুরজলায়। গত কয়েক ঘণ্টায় তাঁর জীবনে একের পর এক প্লট বদল হয়েছে। রঙও। গতকাল যাঁরা তাঁর কাছের লোক ছিলেন, এখন তাঁরাই প্রতিদ্বন্দ্বী। ভোট বড় বালাই! রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই যুক্তিও মানলেন না। উল্টে বললেন, ''ভোট পরের কথা। বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমার চিন্তা এই রাজ্যের যুবাদের জন্য। ওরা এখানে কাজ পায় না। চাকরি নেই। অন্য রাজ্যে চলে যেতে হয়। বাংলার মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে বাংলার উন্নয়ন হবেই। শিল্প আসবে। বড়, মাঝারি, ছোট শিল্পে জোয়ার আসবে। কেন্দ্র আর রাজ্যকে তার জন্য এক হতে হবে। আমরা পাড়ায়, পাড়ায়, বুথে বুথে যাব। একুশে বাংলায় পদ্ম ফুটবেই। আমি বাংলার যাবতীয় সমস্যার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। উনি সব নোট করেছেন। আমাদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। বাংলার জন্য স্পেশাল অর্থনৈতিক প্যাকেজ চাই। অমিতজিকে বলেছি। অমিতজি আমায় বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য দরকারে ক্যাম্প করে পড়ে থাকব। কেন্দ্র ও রাজ্যে এক সরকার চাই। আমরা চাই 'ডবল ইঞ্জিন' সরকার। যা মানুষকে দিশা দেখাতে পারবে।''


আরও পড়ুন-  'আমি ডিভোর্স চাই না, BJP তোমায় বোকা বানাচ্ছে, আমাকে দমানো যাবে না', Soumitra-কে চিঠি Sujata-র


ব্যক্তিগত আক্রমণ তিনি কখনও করেননি। করবেন না বলেও দাবি করলেন। রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলে গেলেন, ''ভোটের আগে তৃণমূল ভাঁওতাবাজি করছে। বলছে, ৯৯ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে। সবই ভাঁওতা। ওরা বাংলাটাকে বেচে দিয়েছে। কিছু নেতা ব্যক্তিগত আক্রমণে বিশ্বাসী। অন্য দল থেকে তৃণমূলে এলে উন্নয়নের স্বার্থে। আর তৃণমূল থেকে কেউ অন্য দলে গেলেই গাদ্দার! বাংলার মানুষ সব বোঝে। ওরা বলেছিল, বটগাছ থেকে কয়েকটা পাতা ঝরে পড়লে বা সমুদ্র থেকে এক ঘটি জল তুলে নিলে কিছু যায় আসে না। আমি যদি ঝরা পাতা হই তা হলে তৃণমূলের আমাকে নিয়ে এত চিন্তা কেন!''