Anurag Thakur: সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হবে, বাংলায় হিংসা নিয়েও রাজ্য সরকারের মুখোশ খুলব: অনুরাগ
Anurag Thakur: মণিপুরের পরিস্থিতি দেখতে আজ সেখানে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের একটি প্রতিনিধি দল। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে সেখানে গিয়েছেনর বিভিন্ন দলের ২১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তারা। এরপরই রাজ্যে এসে রাজ্য সরকার ও ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করলেন অনুরাগ
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরের হিংসা নিয়ে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট মাথাচাড়া দিতেই বাংলা এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। পঞ্চায়েতে ভোট বাংলায় ঘটা হিংসা নিয়েও তিনি সরব হলেন। এমনকি অনুরাগ ঠাকুরের গলাতেও এবার যোগীর বুলডোজার।
আরও পড়ুন-মানুষের যন্ত্রণা শুনতেই মণিপুরে আজ 'ইন্ডিয়া'! কটাক্ষে বিঁধলেন অনুরাগ
প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিশানা করে অনুরাগ হলেন, অধীরজি, কোর্টে গিয়ে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন বাংলায় খুন হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের অপরাধ হচ্ছে। মানুষকে বাঁচান। আর কোর্টকেও এখন বলতে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সামলাতে না পারেন তাহলে যোগীজির বুলডোজারই কাজে লাগান।
বিরোধীদের হিম্মত থাকলে আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করছি সংসদে আসুন। আমরা আলোচনার জন্য তৈরি আছি। যে কোনও ইস্যুতে আলোচনা হোক। আপনাদের সব কথা শোনা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু কংগ্রেস, সিপিএম ও অন্যান্য বিরোধী দল আলোচনা চায় না। কেবল খবরে থাকতে চায়। সংসদে আলোচনা মণিপুর নিয়ে আলোচনা হলে বাংলার হিংসা নিয়েও আলোচনা হবে। এই জন্যই আপনারা সংসদে চর্চা হতে দিতে চান না। আমরা সংসদে সব আলোচনাই করব। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখোসও খুলব।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে গতকাল তোপ দাগেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই সমস্যার সমাধান না করতে পারেন তাহলে বুলডোজার নীতি নেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজ বাংলায় এসে চলে যান কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ দেবের জন্মস্থানে। সেখান থেকে চলে যান খানাকুলে। দলের জয়ী প্রার্থীদের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন অন্যদিকে তেমনি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকেও তুলোধনা করেন। টেনে আনেন অধীর চৌধুরী ও সিপিএমকে। মণিপুরে যেমন বিরোধী প্রতিনিধি দল গিয়েছে তেমনই এরাজ্যে এসে কীভাবে হিংসা হয়েছে তা দেখা উচিত।
মণিপুরের পরিস্থিতি দেখতে আজ সেখানে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের একটি প্রতিনিধি দল। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে সেখানে গিয়েছেনর বিভিন্ন দলের ২১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তারা। এরপরই রাজ্যে এসে রাজ্য সরকার ও ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করলেন অনুরাগ। এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, অনুরাগ ঠাকুরের মাথা গ্রে ম্যাটার এতটা কম তা আমি জানতাম না। বুলডোজার কথাটা দিয়ে যে উত্তর প্রদেশ সরকারকে যে কটাক্ষ করা হয়েছে সেটা বোঝার মতো ন্যূনতম বুদ্ধি অনুরাগের নেই। অনুরাগ ঠাকুর গোলি মারো শোলো কো স্লোগানের জন্য বিখ্যাত। তাঁকে আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাই উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতন, অপহরণ, খুন গোটা দেশে শীর্ষে। উন্নাও, হাতরসের ঘটনা এখনও দগদগে। ওইসব জায়গায় কতগুলো সেন্ট্রাস টিম পাঠিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র নেত্রী যিনি পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করেছেন। মোদী সরকারের এসে তা দেখা উচিত।