ওয়েব ডেস্ক: কখনও কানখুলি, কখনও রবীন্দ্রনগর আবার কখনও  বিধানগড়। বার বার উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্র। পর্দাফাঁস হচ্ছে বেআইনি অস্ত্র কারখানার। কিন্তু কেন? বার বার কেন মহেশতলা? আটমাসে চারবার। বেআইনি অস্ত্র কারবারের পর্দা ফাঁস। এপিসেন্টার সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেআইনি অস্ত্র কারখানা
৭.০৯.১৬
মহেশতলা


বেআইনি অস্ত্র কারখানা
২৭.০৯.১৬
বারুইপুর 


বেআইনি অস্ত্র কারখানা
২.১০.১৬
রবীন্দ্রনগরের কানখুলি


বেআইনি অস্ত্র কারখানা
১৫.০৫.১৬
মহেশতলার বিধানগড়



দফায় দফায় উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র। কার্যত আর্মস হাব হয়ে উঠছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকা। কিন্তু কেন? কেন অস্ত্রের আঁতুড়ঘর রবীন্দ্রনগর? CID আধিকারকারিকরা বলছেন, মহেশতলাকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ ঢিলেঢালা নজরদারি ও অবস্থানগত সুবিধা। মহেশতলা কলকাতার লাগোয়া কিন্তু, শহরে পুলিসি নজরদারি যতটা কড়া ততটা এখানে নয়। বন্দর এলাকা হওয়ায় বাংলার বাইরের অনেকেই ভাড়া থাকেন। হিন্দিভাষী মানুষের আধিক্য বেশি। আম জনতার ভিড়ে মুঙ্গেরের কারিগররা সহজেই মিশে যায়। সড়ক পথের পাশাপাশি নদী পথে অস্ত্র পাচারের সুবিধা রয়েছে। এগুলো যদি কারণ হয়। আরেকটি কারণ অবশ্যই পুলিসের ব্যর্থতা। 


প্রতিবার বেআইনি অস্ত্র কারবারের পর্দা ফাঁস হওয়ার পর কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু, অধরাই রয়ে যায় মূল মাথারা। এমনকি যারা এরাজ্যে বসে বেআইনি অস্ত্র দুষ্কৃতীদের ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছে তাদের টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিস।


মাসখানেক আগে ওয়াটগঞ্জ থেকে ধরা পড়ে মুঙ্গেরের কুখ্যাত অস্ত্র কারবারি ভিকি ও ২ শাগরেদ। পুলিস দাবি করে অস্ত্র কারবারিদের কোমর ভেঙে দেওয়া গেছে। পুলিসের দাবি যে নেহাতই  ফাঁকা আওয়াজ, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হাওড়া আর বিধাননগড়।  প্রমাণ হয়ে গেল অস্ত্র কারবারের মাস্টারমাইন্ডের টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিস। যার  জন্য শুধু কলকাতার আশেপাশে নয়। বনগাঁ-বসিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে এই অস্ত্র পৌছত বাংলাদেশেও। ঠিক যেভাবে মুঙ্গেরে তৈরি অস্ত্র বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে পৌছে গিয়েছিল বাংলাদেশের নিও JMB জঙ্গিদের হাতে।  তবে, এখনও অস্ত্র কারবারিদের সঙ্গে জঙ্গিদের সরাসরি কোনও যোগ পাননি গোয়েন্দারা।