নিজস্ব প্রতিবেদন: কেতুগ্রামের নীলমণি দানা। তিনি এখন খবরের শিরোনামে। কেন জানেন কী ? রূপকথার গল্পের মতোই অনেকটা নীলমণির জীবন।এক দীর্ঘ প্রতিজ্ঞা নিয়ে তাঁর জীবনের আঠেরো বছর কেটে গিয়েছে। নিন্দুকরা বলছেন, আগামি দশ বছরেও নাকি তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে পারবেন না। কী তাঁর প্রতিজ্ঞা? ৪৬ বছরের নীলমণি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। পশ্চিমবঙ্গে নিজের প্রিয় দলকে ক্ষমতায় দেখার অপেক্ষায় আছেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে। "ধনুক ভাঙা পণ"-এর কথা তো সকলেরই জানা,এনার গল্পও অনেটা ওরকমই। এক কঠিন প্রতিজ্ঞা করে দীর্ঘ ১৮ বছর খালি পায়ে হাঁটেন বিজেপির এক একনিষ্ঠ কর্মী। শুধু তাই নয় তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যতদিন না পর্যন্ত রাজ্যে BJP সরকার গঠন করবে ততদিন পর্যন্ত জুতো ছাড়া থাকবেন তিনি, হাঁটবেন খালি পায়েই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন Dev, তিনটি সভা বাতিল, ফিরে যেতে হল তাঁকে


কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত নিরোল গ্রামের বাসিন্দা নীলমণি দানা। স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার নীলমণির। পেশায় ধুপ বিক্রেতা। টেনেটুনেই সংসার চালান নীলমণি। মেয়ে সুমনা একদশ শ্রেণীর ছাত্রী, ছেলে সুশোভন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। বিয়ের  কিছুদিন পর থেকেই জুতো পরা ছেড়ে দিয়েছেন নীলমণি। স্ত্রী রাখি দানা কিছু দিন বলার পর হার মেনেছেন নীলমণির জেদের কাছে । এমন ঘটনা সত্যই বিরল।


আরও পড়ুন:'লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা', Raj-র প্রচার মিছিল থেকেই শীতলকুচির ঘটনার নিন্দা Jaya-র



নির্বাচন শেষ হতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। ২২এপ্রিল কেতুগ্রাম বিধানসভার নির্বাচন। কেতুগ্রাম বিধান সভার বিজেপি প্রার্থী মথুরা ঘোষের হয়ে দলের সঙ্গে প্রচার করছেন নীলমণি। রোদ পায়ে নিয়েই খালি পায়ে গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে যাচ্ছেন নীলমণি, ভয় নেই করোনার, কষ্ট নেই গরমে। পায়ের তলা উত্তাপে লাল হলেও তিনি সিদ্ধান্তে অনড়। শুধু আছে দলের প্রতি নিস্বার্থ ভালবাসা। সকলের কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছেন একটাই মন্ত্র, BJP সরকারের কোনো বিকল্প নেই। প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে নীলমণি এবার আশাবাদী এবার রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করবে। আর তিনি ২রা মে জুতো পড়বেন। হবে কী ২রা মে নীলমণির জুতো আবিস্কার! আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। নির্বাচনে যখন একের পর এক নেতা দল বদলাচ্ছেন,কুকথার বন্যা ছুটছে, হিংসার বলি হচ্ছেন একের পর এক সাধারণ মানুষ, ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে নীলমণি দানা এক দৃষ্টান্ত হয়ে এসে দাঁড়ালেন সকলের সামনে।