কোভিড আতঙ্কে চিকিৎসকের দাদাকে রডের ঘা, গরম সাইলেন্সরের ছ্যাঁকা পড়শির
এখানেই শেষ নয়, বাইকের গরম সাইলেন্সর দিয়ে পা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাই কোভিডের চিকিত্সা করছে। আর তারই খেসারত দিতে হল দাদাকে। করোনা আবহে প্রথম সারির যোদ্ধা তিনি। বিষ্ণুপুর এক নম্বর ব্লক হাসাপাতালের চিকিত্সক তথা BMOH সৈকত বসু। তবে তাতেও রেহাই নেই। প্রতিবেশিদের ক্ষোভের মুখে পড়ল তার দাদা। করোনা ছড়াতে পারে, স্রেফ এই আতঙ্কে চিকিত্সকের ভাইকে রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিলেন পাড়ারই কয়েকজন প্রতিবেশি।
আরও পড়ুন: একশো বছর বিদ্যুত নিয়ে চিন্তা নেই বাংলার, একুশের মঞ্চ থেকে একুশ জয়ের ডাক মমতার
এখানেই শেষ নয়, বাইকের গরম সাইলেন্সর দিয়ে পা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শুরুর দিকে আমতলার একটি হোটেলে থেকেই হাসপাতালে যাতায়াত করছিলেন চিকিত্সক সৈকত বসু। দীর্ঘদিন বাদে সরশুনার বোম্বাই বাগানের বাড়িতে ফেরেন তিনি। অভিযোগ, এরপরেই পাড়ার কয়েকজন বাড়িতে চড়াও হয়ে শাসাতে থাকে পরিবারকে। বাড়ির বাইরে সদস্যদের বের হতে বাধা দেওয়া হতে থাকে কয়েকদিন ধরে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে কলকাতায় অস্বাভাবিক মৃত্যু ৮০! চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিসের হাতে
এদিন সৈকত বসু হাসপাতালে চলে যাওয়ার পর, পরিবারের সদস্যদের ওপর চড়াও হয় কয়েকজন। চিকিত্সকের বাবা-মাকে গালিগালাজ করার পর বেধরক মারধর করা হয় ভাই সুদীপ্ত বসুকে। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহত চিকিত্সকের ভাই। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।