নিজস্ব প্রতিবেদন: মাথাভাঙা, বুথ নম্বর ১২৬, আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। চুতুর্থ দফা ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এই এলাকায়। সেনা বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে। কেন গুলি চলল রিপোর্ট তলব করে কমিশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শীতলকুচির ঘটনায় এক সিনিয়র CAPF অফিসার জানিয়েছেন, 'আমাদের কাছে খবর আসে, প্রেমিসেস থেকে কিছু দূরে ভোটারদের আটকে দেওয়া হয়েছে। বুথে আটকে দেওয়া হয়েছে।  তখন CISF কোম্পানি কমান্ডেন্ট সেখানে যায়। তখনই ৫০-৬০ জনের একটি দল সুনিল কুমার নামে ওই অফিসারের ওপর চড়াো হয়। বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়েই শূন্যে ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। জানা গিয়েছে বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরেই এই ঘটনাটি ঘটে এদিন সকালে।  


দেখুন ভিডিয়ো



সিনিয়র CAPF অফিসার আরও জানিয়েছেন যে, তখনকার মতো ঝামেলা মিটে যায়। ফের শুরু হয় ভোট গ্রহণ পর্ব। তবে ১ ঘণ্টা পর ফের ১৫০ জনের একটি দল চড়াও হয়। প্রথমে এক পুলিসকে মারধর করা হয়। এরপর এক প্রিসাইডিং অফিসারকেও মারধর করেন তারা। ঘিরে ফেলা হয় ফোর্সকে। তখনই বাহিনী গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার। 


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: ভোট দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু BJP সমর্থকের, অভিযুক্ত TMC


 শীতলকুচির (Shitalkuchi) পর এবার উত্তেজনা ছড়ায় মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকিতে। অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ যুবকের। তৃণমূলের দাবি ওই চারজনই তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। বাকি ৩ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 


সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে খবর। তবে ওই ৩ জনের দেহে গুলির চিহ্ন মেলেনি। ধস্তাধস্তিতেই আহত হয়ে মৃত্যু বলে সূত্রের খবর। মৃত ওই ৪ ব্যক্তিদের নাম হামিদুল হক, সামিয়ুল হক, মনিরুল হক, নূর আলম। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন (Assembly Election)। পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন করেন সুদীপ জৈন। কোন পরিস্থিতিতে পুলিসকে গুলি চালাতে হল জানতে চান তিনি। উল্লেখ্য, ঘটনায় আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 


শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভোট। বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। সব মিলিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। দফায় দফায় সংঘর্ষে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। দুপুরের মধ্যেই সবমিলিয়ে মোট ৫ জনের মৃত্যুর খবর আসে। একের পর এক বিশৃঙ্খলার কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হল এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ পর্ব।