নিজস্ব প্রতিবেদন: ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের করোনার চিত্রটা বদলাচ্ছে। দৈনিক আক্রমণের সংখ্য কমে ১০ হাজারের নীচের ঘরে রয়েছে। যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। বিগত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ৮ হাজার ৮১১ জন। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫৬৮ জনের। তবে বুধবারের নিরিখে মৃতের সংখ্যা বেশ খানিকটা কম। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩ জুন পর্যন্ত সবমিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনাক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩ হাজার ৫৩৫।  এখনও পর্যন্ত করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৩৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬৯৩৮ জন। বোঝাই যাচ্ছে যে সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে। এদিন পর্যন্ত মৃতের মোট সংখ্যা ১৫ হাজার ৯২১। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭৮০। ডিসচার্জ রেট ৯৪.৪৬ শতাংশ। এমনটাই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল বুলেটিন। রাজ্যে বিধি নিষেধের সময়সীমা বাড়ানোতেই ফল মিলছে বলে মনে করছে প্রশাসন।


আরও পড়ুন:লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউনে ওদলাবাড়ি


অন্যদিকে বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান 'অন্যান্য রাজ্যে পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। আমরা কিন্তু সেটা করিনি। আমরা কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছি। আমরা কারফিউও করিনি। তবে রাত ৯ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সব বন্ধ রেখেছি। গত ১৫ মে পর্যন্ত রাজ্য়ে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে নবান্ন। 
সে কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,''সকাল ৭টা থেকে ১০ পর্যন্ত দোকান-বাজার সব খোলা। ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত  শাড়ি-সহ অন্যান্য দোকানও খোলা রয়েছে। মিষ্টির দোকান ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। সোনা, জামাকাপড় ও রেডিমেড দোকান ১২টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত খোলা। একেবারে পুরো বন্ধ নয়। যতটা সম্ভব খুলে রেখেছি।'



আরও পড়ুন: Yaas-র তাণ্ডবের পর রাস্তায় নেমেছেন মমতাই, বিজেপি নেতারা কোথায়: অভিষেক


এ দিন আরও কিছু ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেগুলি হল- কর্মীদের টিকা দেওয়ার পর বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখা যাবে। ১৬ জুন থেকে বিধি মেনে খোলা যাবে শপিংমল। তবে ২৫ শতাংশ ক্রেতা ঢুকতে পারবেন। এর পাশাপাশি খুচরো দোকানগুলি ১২টা থেকে ৪ পর্যন্ত খোলা থাকবে পরের ধাপে।