লকডাউনে চলছিল চোলাই মদের আসর, পুলিসের তাড়ায় কংসাবতীতে ঝাঁপ মদ্যপদের
মেদিনীপুর শহরে কংসাবতীর তীরে নজরগঞ্জ এলাকা। পুলিস পৌঁছে দেখে সত্যিই সেখানে মদের আসর চলছে। উর্দিরধারী দেখে নেশা ছুটে যায় মদ্যপদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের তোয়াক্কা না করে মেদিনীপুরের নজরগঞ্জে বসেছিল মদের আসর। কিন্তু পুলিস তাড়া করতেই রসভঙ্গ। সবে যখন ঝিম ধরেছে, ঝাঁপ দিতে হল কংসাবতীতে। লকডাউনে বেআইনি মদের ভাটি চলছে রমরমিয়ে। খবর পেয়েই রওনা দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিস।
মেদিনীপুর শহরে কংসাবতীর তীরে নজরগঞ্জ এলাকা। পুলিস পৌঁছে দেখে সত্যিই সেখানে মদের আসর চলছে। উর্দিরধারী দেখে নেশা ছুটে যায় মদ্যপদের। ডান্ডার ঘা থেকে বাঁচতে কংসাবতীর জলে ঝাঁপ দিতে থাকেন মদ্যপরা। লকডাউন বিধি উড়িয়ে বেআইনি ভাঁটিতে দিব্যি চলছিল ব্যবসা।
আরও পড়ুন: মুণ্ডু উধাও, জোড়া খুনের নৃশংসতা মেরুদণ্ড দিয়ে বইয়ে দেবে ঠান্ডা স্রোত!
সাইকেল, চটি, যেখানে যা ছিল, তা ফেলেই জলে ঝাঁপ দেন মদ্যপরা। মোবাইল ফেরত নেওয়ার জন্য ডাকতে থাকেন পুলিসকর্মী। কিন্তু মদের নেশায় চুর হয়ে উঠে আসার ক্ষমতা ছিল না। ডাঙায় উঠলে মার খেতে হবে না। পুলিসের এই আশ্বাসে মদ্যপরা এক এক করে জল থেকে উঠে আসেন।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার অম্লান কুসুম ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। চারজন চোলাই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। নজরগঞ্জের এই এলাকায় রোজই বসত বেআইনি মদের ভাঁটি। শুক্রবার সার্বিক লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহু মদ্যপ আসর জমান সেখানে। এতদিন পুলিসের নজরে পড়েনি কেন? সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।