নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার কার্যত সারদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলেছে কোচবিহারে। মাথাভাঙার পর তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের অভিযোগ দিনহাটাতেও। শুক্রবার রাতের ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় দিনহাটার নাজিরহাট। ২৫ নম্বর মণ্ডলের মহিলা মোর্চার নেত্রী সান্ত্বনা বর্মণের স্বামীর ওপর হামলার হয় বলে বিজেপি কর্মীদের দাবি। এরপরই তাঁর স্বামীর চোখ উপড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অফিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের পাল্টা দাবি, এই ঘটনা বিজেপিরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'ইন্ডাস্ট্রি শব্দে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সহজ হয়', Mamata-কে কটাক্ষ Mukul-এর


অন্যদিকে দুপুরে ধুন্ধুমার বাধে মাথাভাঙায়। মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি। বোমাবাজি, পার্টি অফিস ভাঙচুরে রীতিমতো তুলকালাম পরিস্থিতি। কোচবিহারে বিজেপি জেলা সম্পাদকের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে এদিন মাথাভাঙা থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল গেরুয়া শিবিরের। তাঁদের অভিযোগ, মিছিলের ওপর বোমাবাজি করে তৃণমূল। উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরাও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে। এলাকায় উত্তেজনা চরমে। আহত হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী। যে ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র মাথাভাঙা, তার সূচনা হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতেই।


বৃহস্পতিবার গুলি চলে কোচবিহারে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তীর সেই তৃণমূলের দিকেই।  জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বিজেপি নেতা অভিজিত্ বর্মন। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। মাথাভাঙা শহরের বোচা গাড়িতে দলীয় কর্মীর উপর আক্রমণের ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ফেরার পথে আক্রান্ত হয়েছেন অভিজিত্, অভিযোগ এমনই।