নিজস্ব প্রতিবেদন: CAA বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ। নাগরিকরা বিপন্ন, তাই এই প্রস্তাব। বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব পাশ করার আর্জিও জানালেন তিনি। কেরল, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ। বিধানসভায় পেশ হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব। আজ দুপুরে বিধানসভায় আলোচনা শুরু হয়। প্রস্তাব পেশ করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন বিধানসভার স্পিকার জানান, "সংশ্লিষ্ট আইনের জন্য দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিধানসভা এর আগেও NRC নিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছে। তবে কিছু কারণে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।" প্রস্তাব পেশ করার সময়ে চরম অস্থিরতা তৈরি হয় কক্ষে। এই আইন ভারতীয় নাগরিকদের ওপর সমস্যা তৈরি করেছে, কাজেই CAA, NPR প্রত্যাহারে দাবি জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। অন্যদিকে শাসকদলকে খোঁচা দিয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয় "আগেই প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলাম, তখন ছিলেন না শাসকদলের কেউ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে চিনে ঘরবন্দি বর্ধমানের যুবক, দ্রুত দেশের ফেরানোর আর্জি পরিবারের


CAA-এর বিরোধিতায় শুরু থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিনের মধ্যেই  বিধানসভায় CAA বিরোধিতায় প্রস্তাব আনার কথা জানিয়েছিলেন নেত্রী। গত সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী। অন্য রাজ্যগুলিকেও জানানো হবে একই আর্জি। এদিনই ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, "নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজ্য বিধানসভায় আমরা দু-এক দিনের মধ্যেই প্রস্তাব গ্রহণ করব।" এরপরই ঠিক হয় আগামী ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ হতে পারে। ইতিমধ্যেই আগে কেরল বিধানসভায় একই রকম প্রস্তাব পাস করে বামেরা। পরে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারও একই প্রস্তাব এনেছে। এবার সেই পথেই হাঁটে এ রাজ্যেও। 


আরও পড়ুন: বাড়িতেই রমরমিয়ে চলছিল দেহব্যবসা, হাতেনাতে পাকড়াও স্বামী-স্ত্রী


সেপ্টেম্বরে বিধানসভায় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়। তখনও নতুন নাগরিকত্ব আইন চালু হয়নি। ৯ জানুয়ারি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে নয়া আইনের বিরুদ্ধে সর্ব সম্মত প্রস্তাব পাসের দাবি জানায় বাম-কংগ্রেস। তবে, স্পিকার আলোচনার অনুমতি দেননি। মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকে বলেছেন CAA তিনি মানেন না। তাহলে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে বাধা কেন? সমালোচনা শুরু করে দেয় বাম-কংগ্রেস। অবশেষে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি রাজি। সেই কর্মসূচি অনুযায়ীই সোমবার বিধানসভায় অস্থিরতার মাঝেই সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন পার্থ চট্টপাধ্যায়।