Malda: বিজেপিপ্রার্থীকে `ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে` দেওয়াললিখন বিজেপি`র-ই!
এর পিছনে তৃণমূলের `হাত` আছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি`র একাংশের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ অব্যাহত বিজেপিতে। এবার এই অসন্তোষ এবং তার জেরে তীব্র চাপানউতোর দেখা গেল মালদহের ইংরেজবাজারে। ইংরেজবাজারে পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেওয়াল লিখলেন ওয়ার্ড কমিটির বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
কেন স্থানীয় বিজেপি'র এই বিমাতৃসুলভ আচরণ?
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অন্য ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী দেওয়াতেই এই অসন্তোষ। এবং আসন্ন ভোটেও এই অসন্তোষের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ জানান-- কয়েকজন তৃণমূলকর্মী-সমর্থকের সঙ্গে মিলে এই কাণ্ড করেছে কয়েকজন বিজেপিই। দল তাঁদের বহিষ্কারের পথে হাঁটবে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী এর পাল্টা দেন, এটা বিজেপির নিজেদের মধ্যে কলহ। মালদহে বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে সমস্ত ওয়ার্ডে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেসই।
আসন্ন পুরো নির্বাচনে ইংরেজবাজার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছে রোহিত হালদারকে। রোহিত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আর এই নিয়েই অসন্তোষ ছড়িয়েছে বিজেপির অন্দরে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা যাদের প্রার্থী করার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন জেলা কমিটি তা মানেনি। তাই বহিরাগত বিজেপি প্রার্থীকে একটিও ভোট দেওয়া হবে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করা হবে। এবং এই বিষয়েই দেওয়াললিখনের মাধ্যমে প্রচার আরম্ভ করেছেন বলেও জানান তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপি প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রচার চলছে বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রোহিত হালদার জানান-- তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই সূত্রে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। দল তাঁকে যোগ্য মনে করেছে তাই প্রার্থী করেছে। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁরা কেন এমন করছেন, সেই বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না বলেই জানান। তবে ভোটবাক্সে যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা তিনি স্বীকার করে নেন।
যদিও দক্ষিণ মালদহের সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি ঘোষের অভিযোগ-- এর নেপথ্যে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের বিজেপির কয়েকজনকে হাত করে এই ধরনের কাজ করানো হচ্ছে। ২০১৫ সালের পুরো নির্বাচনে মাত্র ১০০ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। আর বিধানসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডেই এগিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি নিশ্চয় বোঝে, এটা তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল। তবে যাঁরা দলবিরুদ্ধ কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের পথে হাঁটবে বিজেপি।
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, 'মালদহ জেলার ক্ষেত্রে বিজেপি অস্তিত্বহীন। ওদের কোনও সংগঠন নেই। ওদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ আছে। তাই নিজের প্রার্থীকে আক্রমণ করছে। এটা ওদের কালচার। এসব নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছি। আমরা সমস্ত ওয়ার্ডেই জয়লাভ করব বলে আশাবাদী।'
আরও পড়ুন: Malda: ইটভাটার চৌবাচ্চায় তলিয়ে গেল ২ শিশু, বিহার থেকে কাজে এসে সন্তানহারা শ্রমিক দম্পতি